সদ্য সংবাদ
রমজান মাসের আগে সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেল, বিশেষত সয়াবিন এবং পাম অয়েল, বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থানে থাকলেও, বাংলাদেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসের আগে ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর পুরোনো পদ্ধতিতে চলছেন।
সরকারের বিপণন সংস্থা, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), জানিয়েছে যে, গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে এবং বাজারে চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষত এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে, যা খুচরা বাজারে ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন যে, তারা যথাযথ পরিমাণে সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না, ফলে ভোক্তাদের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিবছর রমজানের আগে ডিলাররা তেলের দাম বাড়ানোর জন্য এই ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। পাইকারি, ডিলার এবং খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়, এমনটাই জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে ভোজ্য তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে গত বছর সরকার ভ্যাট ছাড় দিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা এবারও দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন, ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়।
২৩ জানুয়ারি বাণিজ্য উপদেষ্টা, শেখ বশীরউদ্দিন-এর নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, সয়াবিন এবং পাম অয়েলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন-কে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলেছে। তবে, এখনও প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
এছাড়া, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে সরকার একটি নীতিমালা করে, যা অনুযায়ী সয়াবিন তেলের দাম বৈশ্বিক বাজারের অবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ খরচের সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত। বর্তমানে ডলার ও অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী দাম সমন্বয় করার পক্ষে।
বর্তমানে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা মূলত ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট এবং সরবরাহে ঘাটতির কারণে। যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে রমজান মাসে ভোক্তাদের জন্য সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি এবং সংকট আরও তীব্র হতে পারে, যা তাদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
এই অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে, যাতে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায় এবং ভোক্তাদের কোনো অসুবিধা না হয়।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি স্কোয়াডে আসছে পরিবর্তন, বাদ পড়ছেন যে ক্রিকেটার
- বিপিএল-এ ফিক্সিংয়ের সন্দেহ: বিসিবি রিপোর্টে উঠে সন্দেহভাজন ১০ ক্রিকেটারের নাম
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা
- আরব আমিরাতের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য আসলো বিশাল সুখবর
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াডে আসছে পরিবর্তন
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লম্বা লাফ, জেনেনিন আজকের রেট কত
- সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের তারকা পেসার তানজিম সাকিব
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি: নতুন তথ্য প্রকাশ
- লাস্ট ওয়ার্নিং পেলেন মিজানুর রহমান আজহারী
- ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ
- অবস্থা ভয়াবহ খারাপ: ব্যাপক সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
- ব্রেকিং নিউজ: বিসিবির প্রধান নির্বাচকের পদত্যাগ
- ১২ রান করে তিন বিদেশিরাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড যত টাকা নিলেন
- জামাতের সভাপতি, আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপির বিশাল হার