সদ্য সংবাদ
শাবান মাসের গুরুত্ব ও আমল: রমজানের প্রস্তুতি

হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাসের পূর্ববর্তী মাস শাবান, যা রমজানের প্রস্তুতিকাল হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং অধিক ইবাদত করার জন্য বিশেষ সুযোগ রয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) শাবান মাসে বিশেষভাবে ইবাদত করতেন এবং এই মাসে বরকত লাভের জন্য দোয়া করতেন।
শাবান মাসে মহানবী (সা.)-এর আমল
মহানবী (সা.)-এর শাবান মাসের আমলগুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখযোগ্য। তিনি এই মাসে বেশি পরিমাণ রোজা রাখতেন এবং উম্মতকে এই মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজে তার আমলনামা আল্লাহর কাছে রোজা অবস্থায় উত্থাপন করানোর প্রাধান্য দিতেন। হাদিসে বর্ণিত, “শাবান মাস রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী এমন একটি মাস, যার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষ সচেতন থাকে না। এই মাসে আমল আল্লাহর কাছে উত্তোলিত হয়, তাই আমি চাই আমার আমল আল্লাহর কাছে রোজা অবস্থায় উত্তোলিত হোক।” (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ২৩৫৭)
শাবান মাসের বিশেষ আমল
১. মধ্য শাবানের রাতে ক্ষমার ঘোষণা: শাবান মাসে রয়েছে আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিশেষ সুযোগ। হাদিসে এসেছে, “আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্মপ্রকাশ করেন এবং তাঁর সৃষ্টির সবাইকে ক্ষমা করেন, মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৯০)
২. রোজা রাখার তাগিদ: মহানবী (সা.) শাবান মাসে রোজা রাখার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, “যখন তুমি শাবান মাসে রোজা রাখনি, তখন রমজানের শেষের দিকে এক বা দুই দিন রোজা রাখো।” (আবু দাউদ, হাদিস: ২৩২৮)
৩. বরকতের দোয়া: শাবান মাসের আগের মাস রজব থেকে বরকত লাভের জন্য মহানবী (সা.) দোয়া করতেন। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাসে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদেরকে রমজান মাসে পৌঁছে দিন।’” (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ১৩৬৯)
৪. শাবান মাসের হিসাব সংরক্ষণ: মহানবী (সা.) শাবান মাসের হিসাব অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রাখতেন। তিনি রমজানের চাঁদ দেখে রোজা শুরু করতেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস: ২৩২৫)
শাবান মাসের প্রতি যত্নশীল হওয়ার কারণ
মহানবী (সা.) শাবান মাসের প্রতি যত্নশীল থাকার বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করেছেন।
১. আমলনামার উত্তোলন: শাবান মাসে বান্দার আমলনামা আল্লাহর কাছে উত্থাপিত হয়, তাই মহানবী (সা.) শাবান মাসে বেশি আমল করতেন যাতে তার আমলনামা রোজা অবস্থায় আল্লাহর কাছে উত্থাপন হয়।
২. ইবাদতের উদাসীনতা দূর করা: শাবান মাস এমন একটি সময় যখন মানুষের মাঝে উদাসীনতা সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে পরবর্তী মাস রমজানের প্রস্তুতির কারণে। মহানবী (সা.) এই উদাসীনতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শাবান মাসে অধিক ইবাদত করার তাগিদ দিয়েছিলেন।
৩. রমজানের প্রস্তুতি: শাবান মাসে অধিক ইবাদত করার মাধ্যমে ব্যক্তি নিজেকে রমজান মাসের জন্য প্রস্তুত করে। মহানবী (সা.) রমজানের চাঁদ দেখার পর রোজা শুরু করতেন, এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে রমজান মাসে প্রবেশের প্রস্তুতি নিতে অনুপ্রাণিত করতেন।
এই মাসের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর আমলগুলো পালন করা, রমজান মাসে পবিত্র ইবাদত করার জন্য এক অতিরিক্ত প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত হয়। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং মহিমান্বিত রমজান লাভের সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- প্রথম গ্রেড অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা
- নিজের কুমারীত্ব ১৮ কোটিতে নিলামে বিক্রি করলেন কলেজ ছাত্রী
- বাংলাদেশকে কঠিন শাস্তি দিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
- মাত্র তিন মিনিটে দুই দফা ভূমিকম্প
- ভাতিজি যখন বউ থেকে পরিণত হয়েছেন দানবে
- ভূমিকম্পে কাঁপলো করাচি, আতঙ্কে রাস্তায় জনসাধারণ
- ৪ মাফিয়া ছাড়া হাসিনার কাছে পাত্তা পেতেন না কেউ
- সার্জিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস: ৭ এপ্রিল হরতাল, যা জানা গেল
- নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন ইমরান খান
- টাকা না থাকায় টয়লেটে থাকেন ১৮ বছরের মেয়ে
- বাংলাদেশে নতুন যুগের সূচনা: হাসিনার খেলার সমাপ্তি
- ০২ এপ্রিল, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী তানিফার মর্মান্তিক মৃত্যু
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতের প্রতিক্রিয়া