ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১

ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি

ফুটবল ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৫:৩১:৫৭
ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক ডিফেন্ডার ও সাফজয়ী ফুটবলার আঁখি খাতুন ভালোবাসার মানুষ শরিফুল ইসলাম টিংকুর সঙ্গে শুভ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ভক্ত থেকে জীবনসঙ্গী

২০১৮ সালে টেলিভিশনের পর্দায় আঁখি খাতুনের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন চীনের লন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলাম টিংকু। সেই ভালো লাগা থেকেই শুরু হয় সম্পর্কের সূত্রপাত। ২০২১ সালে চীন থেকে বাংলাদেশে এসে মাঠে বসে আঁখির খেলা দেখেন তিনি। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ গাঢ় হতে থাকে, যা পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর তারা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।

বিয়ের আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতা

গত ৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সকালে আঁখির বাবা আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেন যে, দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের শুভ বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের দ্বাবাড়িয়া এলাকায় আঁখির পিত্রালয়ে বিয়ের আয়োজন হয়। স্থানীয়রা বর ও কনেকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

নতুন জীবনের পথচলা

আঁখির স্বামী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম টিংকু বাংলাদেশের ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাবেক ছাত্র এবং বর্তমানে চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবে কোচ হিসেবে কর্মরত। অন্যদিকে, আঁখি বর্তমানে চীনের স্ককর ওয়ার্ড ক্লাবে ফুটবল খেলছেন। বিয়ের পরও আঁখি ফুটবল চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "টিংকু আমার খেলার বড় ভক্ত ছিল। চার বছর আগে সুদূর চীন থেকে আমার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিল। সেটাই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। এখন আমরা একসঙ্গে জীবন শুরু করলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাটাও চালিয়ে যেতে চাই।"

আঁখির ফুটবল ক্যারিয়ার

২০১৮ সালে জাতীয় দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন আঁখি খাতুন। তিনি বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০২২ সালে বাংলাদেশ নারী দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করার পর আঁখি কিছুটা আড়ালে চলে যান। ২০২৩ সালে মা‌য়ের অসুস্থতার কথা বলে বাফুফে ক্যাম্প ত্যাগ করেন এবং এরপর থেকে আর জাতীয় দলে ফেরেননি।

পরিবারের প্রত্যাশা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বলেন, "দুইজনের পছন্দের ভিত্তিতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা শাহজাদপুরে আমার বাড়িতেই রয়েছে। আগামী ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা ঢাকায় যাবে এবং এরপর চীনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমি সবার কাছে তাদের জন্য দোয়া চাই।"

নতুন জীবনের পথে পা রাখা এই দম্পতির জন্য শুভকামনা রইলো।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ