ঢাকা, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

ভারত বাংলাদেশের সহায়তা ছাড়া চলতে পারবে না: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০:৩৮:৪১
ভারত বাংলাদেশের সহায়তা ছাড়া চলতে পারবে না: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারত দীর্ঘদিন ধরে বহুমুখী সহযোগিতার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারবে না।

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মানিক সাহা জানান, বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই সম্পন্ন হয়েছে বা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেন ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু, আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক করিডোরের কথা, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

তিনি বলেন, "আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে, তার ফলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাত আরও প্রসারিত হবে। কিছু প্রকল্প সাম্প্রতিক জটিলতার কারণে বিলম্বিত হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে।"

বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কৃষিপণ্য, পোশাক এবং নির্মাণ সামগ্রী ত্রিপুরায় প্রবেশ করছে, অপরদিকে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য শিল্পপণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এই পারস্পরিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক জলপথ পরিবহন, একীভূত চেকপোস্ট এবং সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে। ২০২১ সালে উদ্বোধন হওয়া মৈত্রী সেতু ব্যবহারের অপেক্ষায় রয়েছে, যা উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা এনে দেবে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও মজবুত করার জন্য উভয় দেশের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, তিনি ভারতের জাতীয় রাজনীতির বিষয়ে মন্তব্য করেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করেও এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান সংযোগ প্রকল্পগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন হলে উভয় দেশের জনগণের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে।এগিয়ে যাবে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে