সদ্য সংবাদ
শবে বরাতের রাতে যেসব ইবাদত-বন্দেগি করবেন

শবে বরাত বা লাইলাতুন নিসফা মিন শাবান, হিজরি বছরের অষ্টম মাসের ১৪ তারিখ রাত, যা অর্ধ শাবানের রাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতে মুমিন মুসলমানরা বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগি, তওবা-ইস্তেগফার এবং দোয়া-দরুদ পাঠ করে থাকেন। যদিও এ রাতে সম্মিলিত ইবাদত সম্পর্কিত কোনো নির্দিষ্ট হাদিস নেই, তবে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে অধিক পরিমাণে ইবাদত করতেন এবং কিছু বিশেষ আমল তাঁর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। নিচে শবে বরাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. নফল নামাজ পড়া
শবে বরাতের রাতে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতে দীর্ঘ সময় নফল নামাজ পড়তেন। হাদিসে এসেছে যে, হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, এক রাতে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত দীর্ঘ সেজদায় ছিলেন যে, তিনি মনে করেছিলেন তিনি মারা গেছেন। রাসুল (সা.) সেজদা থেকে মাথা তুলে বললেন, "এ রাতটি শাবানের পঞ্চদশ রজনী, এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের বিশেষ দৃষ্টি দেন, ক্ষমা প্রার্থীদের ক্ষমা করে দেন এবং রহমত প্রার্থীদের রহমত দান করেন।"
২. দোয়া করা
এ রাতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে দোয়া কবুল করেন। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এই রাতে দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। বিশেষ করে পাঁচটি রাত রয়েছে যেগুলোর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন:
জুমআর রাত,
রজব মাসের প্রথম রাত,
শবে বরাত (নিসফা শাবান),
ঈদুল ফিতর,
ঈদুল আজহা।
এছাড়া, শবে বরাতের রাতে কয়েকটি দোয়া বিশেষভাবে পড়া যায়:
رَبِّ أَوْزِعْنِىٓ (সুরা নামল, আয়াত ১৯)
اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ (বুখারি ও মুসলিম)
اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ (বুখারি ও মিশকাত)
اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ (মুসলিম)
৩. তওবা ও ইস্তেগফার করা
শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন। হাদিসে এসেছে, এই রাতে আল্লাহ তাআলা দয়ালু হয়ে তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করেন, তবে যারা ব্যভিচারী এবং মুশরিক, তাদের প্রার্থনা কবুল করা হয় না। তাই, এই রাতে বিশেষভাবে তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করা উচিত। কিছু ইস্তেগফারের দোয়া:
أَسْتَغْفِرُ اللهَ (আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম)
اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ (আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা)
اَللَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি)
৪. তাসবিহ-তাহলিল পড়া
শবে বরাতের রাতে তাসবিহ ও তাহলিল পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এটি আল্লাহ তাআলার প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তাসবিহ-তাহলিল:
سُبْحَانَ الله - اَلْحَمْدُ لِلَّهِ (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ)
اللَّهُ أَكْبَرُ (আল্লাহু আকবার)
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু)
يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ (ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কায়্যুম)
৫. রোজা রাখা
শবে বরাতের পরদিন রোজা রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যখন শাবান মাসের ১৫তম রাত আসবে, তখন তুমি সে রাতে নামাজ পড় এবং পরবর্তী দিনে রোজা রাখো।" (ইবনে মাজাহ)
৬. বিশ্বনবির দোয়া
মহামারি থেকে মুক্তির জন্য বিশ্বনবির কিছু দোয়া বেশি বেশি পড়া উচিত। এ দোয়া গুলি বিশেষভাবে শবে বরাতের রাতে পড়া উত্তম:
اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُونِ (আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি ওয়াল জুনুনি ওয়াল ঝুজামি)
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
এভাবে শবে বরাতের রাতে বিভিন্ন ইবাদত যেমন নফল নামাজ, দোয়া, তওবা, তাসবিহ ও তাহলিল পাঠ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও রহমত আশা করা হয়।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- একই ঘরে স্বামী নিয়ে মা-মেয়ের বসবাস
- নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সৌদি আরব ছাড়ার কঠোর নির্দেশনা
- হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল
- বিহারে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে প্রাণ গেল ৩৮ জনের
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর!
- বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- টাকার বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক কি ক্রীতদাসীর মতো বৈধ
- বাটা কোন দেশের কোম্পানি; যা জানা গেল
- ভাতিজি যখন বউ থেকে পরিণত হয়েছেন দানবে
- পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পেল বাংলাদেশ
- ইমাম মাহদীর আগমনের পূর্বে তিন মহাপুরুষের আগমন
- ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ উত্তেজনা
- ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির আভাস
- মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন
- হাদিসে বর্ণিত সেই দলটি, যারা ফিলিস্তিন জয় করবে