ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

৩৫২ রান করেও পাকিস্তানকে হারাতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১২ ২৩:২৯:১৮
৩৫২ রান করেও পাকিস্তানকে হারাতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা

দারুণ ফর্মে থাকা হেনরিক ক্লাসেন, ম্যাথু ব্রিটজকে ও টেম্বা বাভুমা অসাধারণ ইনিংস খেললেও তা যথেষ্ট হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। কারণ, পাকিস্তান গড়েছে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পাওয়ার নতুন রেকর্ড! ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য পেরিয়ে ৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের দাপুটে জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ান-এর দল।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল ৩৫২/৫, যা করাচিতে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর। ইনিংসের শুরুটা ছিল সতর্ক, তবে শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ-কে দেখে-শুনে খেলার পর স্পিনার আবরার আহমেদ আসতেই হাত খোলা শুরু করেন ব্যাটাররা।

টেম্বা বাভুমা খেলেছেন ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যা তার গত ১৭ ইনিংসে প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর। অন্যদিকে, ম্যাথু ব্রিটজকে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে মাত্র দুই ম্যাচের ক্যারিয়ারে করেছেন ২৩৩ রান, যা ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। পরে ইনিংসের গতি বাড়ান হেনরিক ক্লাসেন। মাত্র ৫৬ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান বিশাল সংগ্রহের দিকে।

শেষদিকে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন কাইল ভেরেইনে। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন খুশদিল শাহ, যিনি তুলনামূলক কম রান খরচ করেছেন। তবে মোহাম্মদ হাসনাইন ৮ ওভারে ৭২ রান দিয়ে ছিলেন সবচেয়ে ব্যয়বহুল।

৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন ফখর জামান ও বাবর আজম। ফখর ৪১ রান করে ফিরলেও, বাবরকে ২৩ রানেই ফেরান উইয়ান মুলডার। এরপর সৌদ শাকিলও টিকতে পারেননি, ১৫ রান করে ফিরে যান।

তবে দল যখন বিপদে, তখন দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়ে তোলেন ২৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, যা পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। রিজওয়ান ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছয়। অন্যদিকে, আগা সালমান খেলেন ১৩৪ রানের ইনিংস, ১০৩ বলে ১৬টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো এই ইনিংস পাকিস্তানকে সহজেই জয়ের পথে এগিয়ে দেয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ছিলেন নির্বিষ। মুলডার নেন ২ উইকেট, তবে ১০ ওভারে ৭৯ রান খরচ করেন। সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন কেশব মহারাজ (১০ ওভারে ৫৪ রান)।

৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে সালমান যখন ১৩৪ রানে আউট হন, পাকিস্তানের তখন দরকার ছিল মাত্র ২ রান। পরের বলেই তাহির তাহির চার মেরে দলকে জয় এনে দেন।

এই জয়ের ফলে পাকিস্তান সরাসরি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেল, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা টানা ছয় ম্যাচ হারল এবং বিদায় নিল টুর্নামেন্ট থেকে।

ফাইনালে পাকিস্তান কি এই দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখতে পারবে? নাকি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভিন্ন কিছুর দেখা মিলবে? সময়ই দেবে উত্তর!

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত