ঢাকা, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

শবে বরাতে নামাজ ও রোজার গুরুত্ব: সুন্নত আমল ও নির্দেশনা

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৪:২২:৪১
শবে বরাতে নামাজ ও রোজার গুরুত্ব: সুন্নত আমল ও নির্দেশনা

শবে বরাত, ইসলামিক বরাত রাত হিসেবে পরিচিত, মুসলিমদের জন্য বিশেষ একটি রাত। এই রাতে বিশেষ কিছু ইবাদত ও আমল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং রোজা রাখা। ১৪ শাবান দিবাগত রাতে ইবাদত করার পরের দিন রোজা রাখা উত্তম।

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) আসলে তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো।” (ইবনে মাজা, হাদিস: ১৩৮৪)

এই রোজা সম্পর্কে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস রয়েছে, যা হজরত আবু যার রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, “হে আবু যার! যদি তুমি মাসের মধ্যে তিন দিন রোজা রাখো, তবে ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে রোজা রেখো।” (তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত) অর্থাৎ, শবে বরাতে রোজা রাখার সঙ্গে আইয়ামে বিজের রোজা মিলিয়ে রাখা উত্তম।

এ রাতের বিশেষ আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার ও নফল নামাজ আদায় করা। এই রাতের আমলে গভীর মনোযোগ দেয়া উচিত। দরিদ্রদের সাহায্য করা, জাকাত ও দান-সদকা দিয়ে গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা এই রাতে এক বিশেষ আমল হিসেবে বিবেচিত।

১৪ শাবানের দিবাগত রাতে রাতজাগরণ, দোয়া, ইবাদত এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা সুন্নত আমল। এটি একটি পবিত্র রাত, যেখানে আল্লাহর অনুগ্রহ ও মাগফিরাত প্রাপ্তির আশায় মুসলমানরা তাদের সময় ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান।

নফল নামাজ সম্পর্কে, শবে বরাতে নফল নামাজ পড়া উত্তম, তবে এ রাতের জন্য আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নির্ধারণ করা উচিত নয়। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, সেভাবেই শবে বরাতেও নামাজ আদায় করতে হবে। আলাদা কোনো নিয়ত বা নিয়ম নির্ধারণ করলে তা বিদয়াত হিসেবে গণ্য হবে, কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে বিশেষ কোনো নিয়মে নামাজ পড়ার জন্য নির্দেশ দেননি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেননি, সাহাবিরা পালন করেননি এমন কোনো বিষয় যদি ইবাদত হিসেবে সৃষ্টি করা হয়, তবে তা বিদয়াত বলে গণ্য হবে। বিদয়াত উদ্ভাবনকারীদের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন আল্লাহর রাসূল।

তিনি বলেছেন: “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব, এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো, (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত বিষয়। (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত সবকিছুই বিদআত, এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা, আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।” (মুসলিম, হাদিস: ১৫৩৫; নাসায়ী, হাদিস: ১৫৬০)

এটি একটি সতর্কবার্তা যে, ধর্মের মধ্যে কোনো নতুন বিষয় সংযোজন বা পরিবর্তন করা না যেন হয়, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশের বিপরীত।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে