ঢাকা, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

এই মাত্র পাওয়া ; সেনা-সন্ত্রাসী সংঘর্ষে ১৯ জনের মৃত্যু

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১২:১৬:১৮
এই মাত্র পাওয়া ; সেনা-সন্ত্রাসী সংঘর্ষে ১৯ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪ জন সেনা সদস্য এবং ১৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবরটি ডন পত্রিকা প্রকাশ করেছে।

সম্প্রতি পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান অঞ্চলে। ২০২২ সালে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান সেনাবাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের দুটি পৃথক স্থানে অভিযান চালায়, যেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের তীব্র লড়াই হয়। প্রথম অভিযানটি ডেরা ইসমাইল খান জেলার হাথালা এলাকায় পরিচালিত হয়, যেখানে ৯ সন্ত্রাসী নিহত হয়। পরবর্তী অভিযানটি উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মিরান শাহ এলাকায় চালানো হয়, সেখানে আরও ৬ সন্ত্রাসী নিহত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত সন্ত্রাসীরা এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।

পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিআইসিএসএস) এর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। জানুয়ারির তুলনায় হামলার সংখ্যা ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে দেশজুড়ে মোট ৭৪টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ৩৫ নিরাপত্তা কর্মী, ২০ বেসামরিক নাগরিক এবং ৩৬ সন্ত্রাসীসহ মোট ৯১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১১৭ জন, যার মধ্যে ৫৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১০ জন সন্ত্রাসী রয়েছে।

এছাড়া, গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্রতা বেড়েছে, যার ফলে দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। বিশেষত, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ নিয়মিত হয়ে উঠেছে। সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, সন্ত্রাসী হামলা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এ পরিস্থিতি দেশটির জনগণ এবং সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং শীঘ্রই এটি একটি জাতীয় নিরাপত্তা সংকট হিসেবে পরিণত হতে পারে, যদি না কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে