ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

উত্তরায় প্রকাশ্যে তরুণ-তরুণীকে রামদা দিয়ে কোপাল সন্ত্রাসী, ভিডিও ভাইরাল

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১০:১৩:৫৪
উত্তরায় প্রকাশ্যে তরুণ-তরুণীকে রামদা দিয়ে কোপাল সন্ত্রাসী, ভিডিও ভাইরাল

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় প্রকাশ্যে দুই তরুণ-তরুণীকে রামদা দিয়ে কোপানোর একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে, তারা হলেন মোবারক হোসেন (২৫) এবং রবি রায় (২২)।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরের একটি রাস্তার পাশে। আহতরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচিত হলেও, তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল হলেও, তাদের পরিচয় এবং বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সাদা শার্ট পরিহিত ব্যক্তি রামদা দিয়ে প্রকাশ্যে ওই তরুণ-তরুণীকে কোপাচ্ছে। তারা দুজন ভয়াবহভাবে চিৎকার করছিলেন এবং মহিলা সন্ত্রাসীদের কাছে জীবন বাঁচানোর জন্য হাত জোড় করে মাফ চাইছিলেন।

পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনার পেছনে একটি মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট গাড়ির সাথে কথাকাটির ঘটনা ছিল। মোটরসাইকেল আরোহী ব্যক্তির সাথে গাড়ির ড্রাইভার এবং তার এক সঙ্গীর ঝগড়া বাঁধে। এর পর তারা রামদা বের করে মোটরসাইকেল আরোহীকে আক্রমণ করে। সংঘর্ষে আহত হয়ে গাড়ির ড্রাইভার এবং তার সঙ্গী পালানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্থানীয় জনগণ তাদের আটক করে এবং গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামদা দিয়ে কোপানো ব্যক্তির নাম মোবারক হোসেন, তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী থানা এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি টঙ্গী পূর্ব থানার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। অপরদিকে, রবি রায় টঙ্গী পশ্চিম থানার হাজীর মাজার এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর জানায়, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা ছিল এবং তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, "এই হামলাটি অত্যন্ত ভয়াবহ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আমরা ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। আহত দম্পতির চিকিৎসা চলছে এবং তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং পুলিশ বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ আরো জানিয়েছে, বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ