ঢাকা, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

মাহমুদউল্লাহ’র ইনজুরি, পরবর্তী ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন; যা যানা গেল

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৭:৪০:৪৫
মাহমুদউল্লাহ’র ইনজুরি, পরবর্তী ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন; যা যানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক; বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, যিনি বয়স বাড়লেও এখনও দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, তিনি এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না, যা অনেকেই অবাক হয়ে দেখেছিলেন। তবে পরে জানা যায়, দুবাইয়ে দলের প্রথম অনুশীলনেই ডান পায়ের মাংসপেশিতে আঘাত পান মাহমুদউল্লাহ, এবং সেই কারণে প্রথম ম্যাচটি তিনি খেলতে পারেননি। চোট থেকে সেরে উঠতে সময় লাগলেও এখন জানা যাচ্ছে, মাহমুদউল্লাহ পরবর্তী ম্যাচের জন্য ফিট হয়ে উঠেছেন এবং তার ফেরার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।

বাংলাদেশ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে। এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের টুর্নামেন্টে টিকে থাকার জন্য একটি ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি বাংলাদেশ এই ম্যাচে পরাজিত হয়, তাহলে তাদের বিদায় হয়ে যেতে পারে।

এমতাবস্থায়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সঙ্গে যোগ দিলে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তিনি একজন অভিজ্ঞ ব্যাটার, যিনি সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের ফর্ম বজায় রেখেছেন। তার সর্বশেষ চারটি ওয়ানডে ম্যাচে একটি করে ফিফটি করেছেন, যা তার ব্যাটিং সক্ষমতার প্রমাণ। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে যখন নিয়মিতভাবে ঝুঁকি দেখা দেয়, তখন মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার রাবিদ ইমাম ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, "আমরা তাকে (মাহমুদউল্লাহ) টুর্নামেন্টের বাকি অংশে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। সে ভালোভাবে সেরে উঠেছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে, সর্বশেষ অনুশীলন শেষে।" তিনি আরও বলেন, "মাহমুদউল্লাহ’র চোট পাওয়ার পর তার স্ক্যান করা হয়েছিল এবং সেখানে কোনো চিড় পাওয়া যায়নি, যা খুবই ইতিবাচক খবর। এখন সে নিজেকে স্বাভাবিক অনুভব করলে, তাকে খেলার জন্য বিবেচনা করা হবে।"

এছাড়া, মাহমুদউল্লাহ’র একাদশে অন্তর্ভুক্তি মানে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলের একটি বড় পরিবর্তন। ওই ম্যাচে দলের অভিজ্ঞ ব্যাটারদের মধ্যে কেউই ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেননি। প্রথমে ৩৯ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর, তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক রেকর্ড গড়ে দুর্দান্ত একটি পার্টনারশিপ তৈরি করেন। হৃদয় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এবং জাকের ফিফটি করেন, যার ফলে বাংলাদেশ ২২৮ রানের লক্ষ্য পায়। তবে ভারত ২১ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই সেই লক্ষ্য অতিক্রম করে নেয়।

বাংলাদেশের গ্রুপ 'এ'তে নিউজিল্যান্ড এবং ভারত এক ম্যাচ জিতে শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান যথাক্রমে পরবর্তী দুটি স্থানে রয়েছে। তাই, আগামী ম্যাচগুলোর গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ লড়াই। পরদিন কিউইদের সঙ্গে খেলার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ গ্রুপ ম্যাচ হবে। এই ম্যাচগুলোর ফলাফল বাংলাদেশ দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং মাহমুদউল্লাহ’র ফিরে আসা বাংলাদেশ দলের শক্তি বাড়াবে।

বাংলাদেশ দলের সামনে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখানোর বড় সুযোগ রয়েছে। মাহমুদউল্লাহর অন্তর্ভুক্তি যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে তা দলের ব্যাটিংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে