নিজস্ব প্রতিবেদক; বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে ২০১৮ সালের নির্বাচন একটি বিতর্কিত অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে, যেখানে ভোট চুরি এবং কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এমনকি নির্বাচনকালীন সময়ের গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এসব তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা দেশের জনগণের সামনে সরকারের ভোট চুরি কৌশল এবং তার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।

নির্বাচনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে হাসিনা সরকারের পেছনে যাদের হাত ছিল, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন দুটি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। এদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল, যা দেশব্যাপী নানা বিতর্কের সৃষ্টি করে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার মধ্যরাতে ভোট বাক্স পরিবর্তন, জাল ভোট গ্রহণ এবং কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময় থেকেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কার্যকরী তথ্য সরবরাহ করে আসছিল। বিশেষ করে, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যেও এই নির্বাচনী কারচুপির অংশ ছিল।

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করা হয় এবং তাদের কাছে আগেই টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়, যাতে তারা নির্বাচনকালে সরকারের পক্ষেই কাজ করে। এমনকি নির্বাচনের পর, এসব কর্মকর্তাদের জন্য নানা আর্থিক সুবিধা এবং বিদেশ সফরের সুযোগও তৈরি করা হয়।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সরকার যে সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করেছিল, তাদের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনের সময় এসব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কার্যকরীভাবে কৌশল বাস্তবায়ন করা। এছাড়াও, এসব কর্মকর্তাদের জন্য ভোটের পর সুপারিশের ভিত্তিতে বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।

এটি প্রমাণিত যে, হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনী কারচুপির ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও সক্রিয় ভূমিকা ছিল এবং এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

**এভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সরকারী নীতির মধ্যে ভোট চুরি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হাইজ্যাক করার ঘটনা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।**

আয়শা/