নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মধ্যে সিলেকশন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে মুশফিকুর রহিমের দলেও থাকা না থাকা। এক পক্ষের মত, মুশফিকের ফর্ম তেমন ভালো নয়, তাই তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে খেলানো উচিত। তবে অন্য পক্ষের যুক্তি হলো, মুশফিকের কিপিং দক্ষতা অপরিসীম, এবং তার অভাব দলের জন্য বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।

মুশফিকের বাদ পড়ার প্রস্তাবের অন্যতম কারণ হলো, বাংলাদেশের দলে বিকল্প কিপিং অপশন নেই। বর্তমানে লিটন কুমার দাস দলের বাইরে থাকায়, আর জাকির আলী অনিককে কিপিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলে তার অভিজ্ঞতার অভাব এবং আত্মবিশ্বাসের কমতি দলের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই মুশফিককে বাদ দিয়ে মাঠে নামানো মানে দলটির অভিজ্ঞতা কমে যাবে, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের পছন্দের সঙ্গে মেলে না।

এছাড়া, বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে একটি সঠিক ব্যাটার না থাকায় মুশফিকের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। আগের ম্যাচে বাদ পড়া খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার, পারভেজ হোসেন ইমন, এবং দুই পেসার ও স্পিনার। এই পরিস্থিতিতে মুশফিককে বাদ দিলে মিডল অর্ডারে বিকল্প কিপার খেলানো, যা দলের জন্য বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করবে।

তবে, সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স নিয়েও আলোচনা চলছে। তার ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কিন্তু বাস্তবে সাকিবের সাম্প্রতিক ইনিংসগুলোতে তিনটি ৫০+ এবং দুটি ৮০+ রানের ইনিংস তার ফর্মের প্রমাণ দেয়। সুতরাং, সাকিবকে বাদ দেওয়ার যুক্তি কিছুটা অসঙ্গত এবং বাস্তবতার সাথে মেলে না।

এদিকে, সিলেকশন প্যানেল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বশীলদের কাছে বড় প্রশ্ন উঠেছে—কেন মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে নতুন কোনো ব্যাটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? এই বিতর্কের মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

সোহাগ/