ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজান মাসে জান্নাতে যাওয়ার জন্য ৩টি বিশেষ আমল

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ০২ ১৫:১১:৩০
রমজান মাসে জান্নাতে যাওয়ার জন্য ৩টি বিশেষ আমল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাস রমজান এক অতীব বিশেষ মাস, যা মুমিনদের জন্য গুনাহ মাফ এবং তাকওয়া অর্জনের অসীম সুযোগ নিয়ে আসে। এই মাসে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য অফুরন্ত সওয়াব অর্জনের পথ খুলে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনও এই মাসে নাযিল হওয়ায়, রমজান মাস আরও অধিক গুরুত্ব পায়। এই মাসে একাধিক আমল দ্বারা সওয়াব অর্জন সম্ভব, তবে জান্নাতে প্রবেশের জন্য তিনটি আমল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

১. রোজা রাখা রমজান মাসের রোজা রাখার মাধ্যমে বান্দার গুনাহ মাফ হয় এবং সাওয়াব বৃদ্ধি পায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান এবং সাওয়াবের আশা নিয়ে রমজানের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬৫৪)

রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়। এক সাহাবী রাসুল (সা.) এর কাছে এসে প্রশ্ন করেন, "আমি কীভাবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব?" তখন নবীজি তাকে আল্লাহর ইবাদত, ফরজ সালাত, যাকাত এবং রমজানের রোজা পালন করার নির্দেশ দেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৩১৫)

২. কুরআন তেলাওয়াত রমজান মাসে পবিত্র কুরআন নাযিল হওয়ায়, এ মাসে কুরআন তেলাওয়াত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) নিজে এই মাসে অধিক পরিমাণে কুরআন তেলাওয়াত করতেন। সুরা বাকারায় বলা হয়েছে, "রমজান মাস- যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, লোকদের পথপ্রদর্শক এবং হেদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনা।" (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মুমিনরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারে এবং তার অন্তরে শান্তি ও তাওফিক অর্জন করতে পারে। তাই রমজান মাসে কুরআন তেলাওয়াতের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।

৩. লাইলাতুল কদররমজান মাসের শেষ দশকের একটি রাত হলো লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। কুরআনে বলা হয়েছে, "নিশ্চয়ই আমি এটি (পবিত্র কুরআন) নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম।" (সুরা কদর, আয়াত: ১-৫)

এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং আল্লাহর নির্দেশে সকল কাজ সম্পাদন করেন। লাইলাতুল কদর রাতটি আরও বেশি মর্যাদাপূর্ণ হয়ে ওঠে, এবং এ রাতে ইবাদত করলে মহান সাওয়াব পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে বেশি বেশি ইবাদত করতেন এবং পরিবারের সদস্যদেরও জাগিয়ে রাখতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৯৭)

রমজান মাসে এই তিনটি আমল—রোজা রাখা, কুরআন তেলাওয়াত করা এবং লাইলাতুল কদরে ইবাদত করা—জান্নাতে প্রবেশের পথ সুগম করে দেয়। এই মাসে আল্লাহর রহমত লাভের অসীম সুযোগ রয়েছে, তাই আমাদের উচিত এই আমলগুলো বেশি বেশি করে পালন করা।

রানা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ