ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিজিআই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের পাশের তরুণের বিষয়ে যা জানা গেল

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৬ ১১:১৪:১২
সিজিআই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের পাশের তরুণের বিষয়ে যা জানা গেল

এই ঘটনাটি সত্যিই জটিল এবং তা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। মাহফুজ আলমের মন্তব্য এবং ঘটনার পটভূমি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, ড. ইউনূসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে ওঠা তৃতীয় ব্যক্তি, জাহিন রোহান রাজিন, একটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

মাহফুজ আলমের মতে, রাজিন একজন ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং তার উপস্থিতি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। অন্যদিকে, রাজিন নিজেকে সিজিআই ফেলো হিসেবে পরিচিত করেছেন এবং বলেছেন যে, তিনি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন এবং মঞ্চে ওঠার সিদ্ধান্তটি স্থানীয় বিদেশি অতিথিদের উৎসাহে করেছিলেন।

এটি দেখায় যে, রাজনীতির আঙ্গিনায় পরিচিতি এবং সম্মান অর্জনের পাশাপাশি, এই ধরনের ঘটনা রাজনৈতিক বিভাজন এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। মাহফুজের মন্তব্যগুলো আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উদ্বেগ এবং অনাস্থা প্রকাশ করেছে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সংকটকে আরও তীব্র করেছে।

ঘটনার পটভূমি১. অনুষ্ঠান: ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’ (সিজিআই) এর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের তুলে ধরেন।

২. তৃতীয় ব্যক্তি: মাহফুজ আলম, আয়েশা সিদ্দিকা তিথি এবং জাহিন রোহান রাজিন—এই তিনজন মঞ্চে উঠেছিলেন। তবে রাজিনের নাম সফরসঙ্গীর তালিকায় ছিল না, যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে।

মাহফুজ আলমের মন্তব্যমাহফুজ দাবি করেছেন যে, রাজিন ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং তার উপস্থিতি আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করেছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে রাজিনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তারা জানতেন না এবং সন্দেহজনক মনে হওয়া সত্ত্বেও তাকে আটকানো সম্ভব হয়নি।

জাহিন রোহান রাজিনের বক্তব্যরাজিন বলেন, তিনি সিজিআই ফেলো হিসেবে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন এবং দুই বিদেশি অতিথির পরামর্শে মঞ্চে ওঠেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আন্দোলন সমর্থন করেন এবং দেশের পরিস্থিতির প্রতি সচেতন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ারাজিনের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে অনেকেই তাকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে উল্লেখ করেছেন। একটি ছবিতে রাজিনের তাজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা গেছে, যা তার রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রশ্ন তুলেছে।

সামগ্রিক বিশ্লেষণএই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করেছে—বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক এবং কিভাবে রাজনৈতিক দলগুলি যুবসমাজের উপর প্রভাব ফেলছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে