নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে অনেক সময় অধিনায়কত্বের পরিবর্তন নতুন দিশা দিতে পারে দলের জন্য। আর এই পরিবর্তন এবার ঘটছে নাজমুল হোসেন শান্তর হাত থেকে। তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া শান্ত, নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছরের শুরুতে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এর ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নতুন অধিনায়ক খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

তবে, এবার কে হতে পারেন নতুন অধিনায়ক? সামনে উঠে এসেছে একাধিক নাম, তবে সবচেয়ে জোরালো প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে লিটন দাসের নাম। এই ওপেনার দীর্ঘদিন ধরে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নেতৃত্ব দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, যা তাকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে এগিয়ে রেখেছে। তার নেতৃত্বের গুণাবলী এবং ঠাণ্ডা মাথায় দলকে পরিচালনা করার সক্ষমতা প্রশংসিত হয়েছে।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এই বিষয়ে বলেন, "আমরা খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব। ইতিমধ্যে বেশ কিছু খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে থেকে একজনকে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।"

এখানে লিটন দাসের নাম উঠে আসার পেছনে মূল কারণটি হলো সাকিব আল হাসান যখন দায়িত্ব থেকে সরে যান, তখন শান্তর কাঁধে আসে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে লিটন দাস দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন। তার নেতৃত্বে দলের আত্মবিশ্বাস এবং পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ, যা তাকে এই দায়িত্বের জন্য একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

এছাড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক বড় পরিবর্তন আসছে। মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন, আর মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়েও আলোচনা চলছে। এসবের মধ্যে বিসিবি একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা নিয়ে দলের পুনর্গঠন নিয়ে কাজ করছে। ফারুক আহমেদ বলেন, "আমরা ক্রিকেট অপারেশনের সঙ্গে আলোচনা করব এবং আমাদের ক্রিকেটকে কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে একটি পলিসি তৈরি করব।"

এটি কেবল মাঠে পরিবর্তনের ইঙ্গিত নয়, বরং বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা হতে পারে। সুতরাং, পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কে হবেন, তা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সব চোখ লিটন দাসের দিকে, এবং যদি তিনি অধিনায়ক হন, তবে এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে পারে।

সোহাগ/