ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশের কাছে নতুন সুবিধা পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৯ ১৬:২৩:২৫
বাংলাদেশের কাছে নতুন সুবিধা পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে তারা নতুন নতুন সুবিধা লাভের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময় বলেছিলেন, ভারতের কাছে যে সুবিধা বাংলাদেশ প্রদান করেছে, তা তারা সারাজীবন মনে রাখবে। যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি, তবে তিনি বলেন, "আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি, এটি তাদের মনে রাখতে হবে।"

হাসিনা সরকারের আমলে ভারতকে যে সব সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল যোগাযোগ বা ট্রানজিট সুবিধা। বর্তমানে, ভারতের "সেভেন সিস্টারস" রাজ্যগুলোর জন্য বাংলাদেশ বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করছে, যা তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উন্নত করতে সাহায্য করছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় ভারতের সেভেন সিস্টারস অঞ্চলের জন্য নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ মাল্টিমোডাল বা বহুমাত্রিক ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রদান শুরু করে, যা ২০১৬ সালে নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়। ২০২২ সালে ভারত বাংলাদেশকে তাদের স্থলবন্দর, বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার প্রস্তাব দেয়, যাতে ভারত অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারে। যদিও বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি এই সুবিধা পায়নি, তবে ভারত আবার নতুন একটি সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব করছে।

এবার, ভারতের সেভেন সিস্টারস রাজ্যের জন্য একটি নতুন অর্থনৈতিক করিডোর চাওয়া হচ্ছে, যা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাবে। ভারতের মেঘালয় রাজ্য সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি নতুন করিডোর নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই করিডোরের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে, এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সংযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হবে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনুযায়ী, এই করিডোরটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর যাত্রার সময় এবং ব্যয় প্রায় ২৫-৬০ শতাংশ কমে যাবে। এছাড়া, আসাম ও ত্রিপুরার সঙ্গে কলকাতার দূরত্বও ৬০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাট সাংমা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশে একটি রূপরেখা পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "এটি কবে বাস্তবায়িত হবে, তা বলা কঠিন, তবে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর এটি বাস্তবায়ন হবে।"

তবে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের সরকার এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা ভবিষ্যতে স্পষ্ট হবে।

এইভাবে, ভারত বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে এবং তাদের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে চাচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ