সদ্য সংবাদ
আরাকানে চলমান পরিস্থিতি ভয়াবহ: বাংলাদেশ কি যুদ্ধে জড়াবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আরাকান আর্মি বর্তমানে মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, যা বাংলাদেশের সীমানার কাছাকাছি অবস্থান করছে, দখল করে রেখেছে। এটি শুধু মিয়ানমারের জন্য নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনীতি এবং নিরাপত্তার জন্যও বড় এক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে আগে থেকেই নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস মিলেছে। এ ছাড়াও, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু অংশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন রাষ্ট্র গঠন করার পরিকল্পনা চলছে, যা অনেকেই পশ্চিমা শক্তির ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করছেন।
মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে চীনের স্বার্থও বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তের ওপারে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি এবং বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারানো, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, আরাকান আর্মি এখনো একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা না করলেও, তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আরাকান আর্মি যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।
বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত গুরুত্ব ও রাখাইনের অবস্থান বাংলাদেশের, ভারতের এবং চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাখাইন অঞ্চলের জলপথ মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রুটের সঙ্গে যুক্ত, যার দৈর্ঘ্য ২৭০ কিলোমিটার। এই সীমান্ত অঞ্চলটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর, যেখানে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা এবং অপহরণের মতো ঘটনাগুলি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে।
চীনও বঙ্গোপসাগরে তাদের কৌশলগত উপস্থিতি বাড়াতে রাখাইনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে, কারণ এখানে চীনের গ্যাস পাইপলাইন এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প রয়েছে। তবে, এই অঞ্চলে আরাকান আর্মির কার্যক্রম চীনের জন্য বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। তাদের কর্মকাণ্ডের ফলে, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চল এবং চীনের সীমান্তেও অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সমর্থন দিতে চীন তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে, আর রাশিয়া আঞ্চলিক উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে, আরাকান আর্মির কর্মকাণ্ডের ওপর মার্কিন প্রশাসন যে তেমন কোনো মন্তব্য করছে না, তা অনেকেই একটি বড় পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারে না।
অতএব, আরাকান আর্মির উত্থান এবং তাদের কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ, ভারত এবং চীন এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
রনি/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা চালু, যেতে পারবে বাংলাদেশীরা
- দুবাইয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন মমতাজ ; সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- অবশেষে ৮ বছরের শিশু ধ/র্ষণে বোনের স্বামী ও শ্বশুর আটক, বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- মাগুরার আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
- শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি পেল
- এবার চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ
- মাগুরায় আলোচিত ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শুনানি হল গভীর রাতে রায় নিয়ে যা জানা গেল
- সৌদি প্রবাসীদের আকামা নবায়নের ফি বাড়ল
- সাহরি খাওয়ার পরে কি সহবাস করা যাবে
- এনসিপিকে শর্ত বেধে দিল নির্বাচন কমিশন
- বাংলাদেশে ফিতরার হার ঘোষণা
- ভারত জানিয়ে দিল, হাসিনার দেশে ফেরার আর কোনো সম্ভাবনা নেই
- নেতৃত্বে পরিবর্তন, শান্তর বদলে অধিনায়ক মিরাজ নয়
- গ্রেপ্তার সেই রিকশাচালকের পরিচয় প্রকাশ