ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

কলকাতায় পলাতক আছেন প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী

২০২৫ মার্চ ১১ ২৩:১১:৪০
কলকাতায় পলাতক আছেন প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে বলা হচ্ছে, ভারতে প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী পলাতক অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষত, ভারতের কলকাতা শহরে তাদের উপস্থিতি নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে।

২০১৩ সালের জুলাই মাসে গণনা অভ্যুত্থান এবং তীব্র রাজনৈতিক সংকটের কারণে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর, অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও ভারতের বিভিন্ন শহরে আশ্রয় নেন। তবে, এর আগ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশি নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য ছিল না। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে তাদের সংখ্যা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য উঠে এলেও, এবার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নতুন তথ্য প্রদান করেছে।

আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সাঈদ ৫ই আগস্টের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংখ্যা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। দিল্লির প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি সাংবাদিক গৌতম লাহিরীর সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাদের অধিকাংশই কলকাতায় অবস্থান করছে।

এই তথ্য সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারত সরকার কীভাবে এই তথ্য গ্রহণ করছে এবং বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে এটি ব্যবহার করবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিশেষ করে, কলকাতা শহর ও আশপাশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

জুলকারনাইন সাঈদ তার ফেসবুক পোস্টে আরও কিছু প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, "গৌতম লাহিরী যদি ভুল তথ্য দেন, তবে কেন ভারত সরকার বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু করতে বিরত রয়েছে?" তিনি আরও বলেন, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা অনেক কিছু ইঙ্গিত দেয়।

এদিকে, গৌতম লাহিরী দাবি করেছেন যে, ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ভারতে অবস্থান কলকাতার অর্থনীতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিবছর, ১৮ থেকে ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে আসেন, এবং তাদের অনেকেই কলকাতা শহরে যাতায়াত করেন, যা ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শেষে, সাংবাদিক জুলকারনাইন সাঈদ প্রশ্ন রেখেছেন, "এটা কি একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ, যাতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি দুর্বল করে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলা যায়?"

এই বিষয়টি নিয়ে এখনো ব্যাপক আলোচনা চলছে এবং ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন এক দিক উন্মোচিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিদ্দিকা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ