নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরার ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। তার সিজিএস (কমা লেভেল) ৪ থেকে কমে ৩-এ নেমে এসেছে। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার তার ব্রেইন স্টেম ও চোখের মণির প্রতিক্রিয়া কমে গেছে। শিশুটির দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

গত ৫ মার্চ মাগুরার নান্দুয়ালি এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। পাশবিক নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।

১২ মার্চ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, শিশুটির সিজিএস লেভেল ৪ থেকে ৩-এ নেমে গেছে। তার ব্রেইন স্টেমের কার্যকারিতা কমে গেছে এবং চোখের মণির প্রতিক্রিয়াও আগের তুলনায় দুর্বল। সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাইকে শিশুটির সুস্থতার জন্য দোয়া করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার গত সোমবার জানিয়েছিলেন যে, শিশুটির শারীরিক অবস্থায় কিছুটা উন্নতি দেখা গিয়েছিল। তার কমা লেভেল ৩ থেকে ৫-এ উন্নীত হয়েছিল এবং সে চোখের পাতা নড়ানোর সক্ষমতা দেখিয়েছিল। তবে শ্বাসরোধের কারণে তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব ঘটে, যার ফলে মস্তিষ্কে পানি জমে যায়। চিকিৎসকরা এখনো এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, জানিয়েছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিরাজুল ইসলাম।

৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচ-এর আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে, ৬ মার্চ সকালে শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও কোনো উন্নতি না হওয়ায় ৬ মার্চ রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। ৭ মার্চ রাত থেকে সে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।

শিশুটির শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতির জন্য চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা সবার কাছে দোয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

সোহাগ/