সদ্য সংবাদ
বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে গিয়ে এখন ভারতের বড় সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে চাপের মধ্যে ফেলতে গিয়ে ভারত বর্তমানে নতুন নতুন সংকটে পড়েছে। ভারত যে কিছু কিছু দিক থেকে প্রতিশোধ নিয়েছে, তা হয়তো তারা সারাজীবন মনে রাখবে। তবে প্রতিদান হিসেবে তাদের কী পাওনা হবে? বাংলাদেশে এখন একটি অভ্যেস হয়ে গেছে—চাওয়ার চেয়ে দেওয়ার অভ্যেস কম।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে তথাকথিত বন্ধুত্ব ছিল, সেখানে বড় ধরনের ছন্দপতন ঘটেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ছাত্রজনতার আন্দোলনে অংশ নিতে দেশে থাকার পর ভারত চলে যাওয়ার পর থেকে সেই পুরনো সম্পর্ক আর থাকেনি। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো বন্ধ ছিল, এরপর সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হলেও, ভারত জানিয়েছে যে তারা চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য ভিসা ইস্যু করবে না। এর ফলে, মেডিকেল ভিসা পেতে রোগীদের জন্য চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ভারত কি ড. ইউনুস সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে চাচ্ছে? তবে, ভারতের হাতে চাপ প্রয়োগের যে নীতিমালা ছিল, তা ৫ আগস্টের পর কার্যত ভেঙে গেছে। এখন বাংলাদেশকে ভারতকে অনুরোধ করতে হবে, যেন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং অহেতুক কথা বলে তা নষ্ট না করে।
এদিকে, স্বাস্থ্য খাতে ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা আয় করা বাংলাদেশ এখন তা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। ভারতীয় চিকিৎসা সেবা থেকে সরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার নতুন সুযোগ দেখতে শুরু করেছে চীনে। ১০ মার্চ, প্রথম দফায় ১৪ জন বাংলাদেশী রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য চীনে গেছেন, তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, টুর অপারেটর এবং সাংবাদিকসহ ৩১ জন ছিলেন। চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াওন জানিয়েছেন, বাংলাদেশীদের জন্য কোন ভিসা নিষেধাজ্ঞা বা নীতি নেই এবং রোগীদের জন্য বিমানের ভাড়া কমানোরও চেষ্টা চলছে।
চীন, গুরুতর রোগ যেমন ট্রান্সপ্লান্ট ও ক্যান্সারের চিকিৎসায় অত্যন্ত উন্নত সেবা দেয়, যা অনেক বাংলাদেশী জানে না। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা এক ট্রাভেল এজেন্ট জানান, চীনে চিকিৎসা খরচ ভারতের চেন্নাই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু এবং থাইল্যান্ডের তুলনায় অনেক সস্তা। বাংলাদেশী রোগীরা চীনের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে জানলে, তাদের জন্য এটি একটি নতুন সুযোগ হতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবও এই উদ্যোগকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশে নতুন বিকল্প তৈরি করতে যাচ্ছে, যেখানে কম খরচে উন্নত চিকিৎসা পাওয়া যাবে।
দেশে স্বাস্থ্য সেবার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে অসহনীয় ভীড়, অনেক হাসপাতাল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কাজ করছে, চিকিৎসকের ফি আকাশচুম্বী। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা ব্যয় মেটানো এক দুঃসাধ্য কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি খাতে কম বাজেট বরাদ্দ এবং দুর্নীতির ফলে স্বাস্থ্য খাত একেবারে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, রাজনীতিকরা যেখানেই স্বাস্থ্য সেবা নিতে বিদেশে যান, সাধারণ মানুষের জন্য মানসম্মত সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত ছিল স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করা, কিন্তু তা হয়নি। বরং, লুটপাটের মহারণ চলছে।
অবশেষে, দেশের স্বাস্থ্য খাতে অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা, অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে সাধারণ জনগণ মানসম্মত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রনি/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
- মাগুরায় ৮ বছরের শিশুর ডিএনএ রিপোর্টে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য
- ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- অবশেষে ৮ বছরের শিশু ধ/র্ষণে বোনের স্বামী ও শ্বশুর আটক, বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- এবার চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ
- আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে(ভিডিওসহ)
- মাগুরায় আলোচিত ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শুনানি হল গভীর রাতে রায় নিয়ে যা জানা গেল
- ব্রেকিং নিউজ: সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর
- সাহরি খাওয়ার পরে কি সহবাস করা যাবে
- এনসিপিকে শর্ত বেধে দিল নির্বাচন কমিশন
- বাংলাদেশে ফিতরার হার ঘোষণা
- মাগুরায় শিশু ধ"র্ষণ হইছে যে ঘরে (ভিডিওসহ)
- ভারত জানিয়ে দিল, হাসিনার দেশে ফেরার আর কোনো সম্ভাবনা নেই
- সিরিয়া থেকে ভয়াবহ সতর্কতা, বাংলাদেশকে সাবধান হওয়ার আহ্বান
- নেতৃত্বে পরিবর্তন, শান্তর বদলে অধিনায়ক মিরাজ নয়