ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

আছিয়ার বোনের বাড়িতে আবারও ভাঙচুর, মালপত্র লুটপাট

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৪ ১৬:৩৩:২৩
আছিয়ার বোনের বাড়িতে আবারও ভাঙচুর, মালপত্র লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ সকাল ১১টার দিকে, আছিয়ার বোনের বাড়ি পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায় যে, বাড়ির মূল কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং স্থানীয়রা গাছপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ির একাধিক দেয়াল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বাড়িটিতে লুটপাট শুরু হয়। প্রথমে বাড়ির জানালা ও দরজা ভেঙে ভেতরে থাকা মালপত্র লুট করা হয়। এরপর সন্ধ্যা সাতটার পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং গভীর রাত পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে।

গাছ কাটতে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, “এই বাড়ির কারণে গ্রামে খারাপ নাম হয়েছে। আমরা চাই না এখানে আর কিছু অবশিষ্ট থাকুক। আমরা এই কাজটি করছি যেন অন্যরা শিক্ষা নিক।”

স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়িতে দুটি আধা-পাকা ঘর ছিল। একটি ঘরে তিনটি কক্ষ ছিল এবং আলাদা একটি কক্ষের ঘরও ছিল। সেখানে হিটু শেখ নামে এক ব্যক্তির পরিবার বসবাস করত, যিনি মামলার মূল অভিযুক্ত (শিশুটির বোনের শ্বশুর)। ঘটনার পর হিটু শেখ, তার স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরপর থেকে ওই বাড়িতে হিটু শেখের বৃদ্ধা মা একা বসবাস করছিলেন। তবে গতকাল দুপুরের পর তাকে আর বাড়িতে দেখা যায়নি এবং তার অবস্থান সম্পর্কে স্থানীয়রা কিছুই জানাতে পারেননি।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "শিশুটির ন্যায়বিচারের কথা বলে এই লোকগুলো আরও বড় অন্যায় করছে। মূলত লুটপাটের উদ্দেশ্যে এই ভাঙচুর ঘটানো হয়েছে। আমি এর মধ্যে কিছু ভালো কিছু দেখি না।"

শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানাতে আজ মাগুরা শ্রীপুর উপজেলায় গিয়েছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেন খান। আসামিদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা এই ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার সমর্থন করি না। যারা এটি করেছে, তারাও অপরাধী। তাদেরও বিচার হওয়া উচিত। বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী এবং আমরা চাই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক। তবে যারা বারবার মহাসড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করছে, আমরা সেটাও সমর্থন করি না।"

এছাড়া, আসামিদের বাড়িতে আগুন ধরালেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও কোনো সদস্য ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কাজ প্রতিহত করেননি। এ বিষয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম আজ দুপুরে বলেন, "এই বিষয়ে এখনো কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা বিষয়টি দেখিনি।"

মাসুদ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ