ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

সেই হাসিনা কেন এখন ভারতের জন্য গলার কাঁটা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৭ ১৯:২১:৫২
সেই হাসিনা কেন এখন ভারতের জন্য গলার কাঁটা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা যখন ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় পালিয়ে গিয়েছিলেন, তখন তার স্বৈরাচারী শাসন বাংলাদেশ ইতিহাসের পাতায় পরিণত হয়। অহংকার এবং দম্ভের অবসান ঘটেছে, কিন্তু আজও হাসিনার নাম বাংলাদেশ রাজনীতিতে উঠে আসে। কারণ, দিল্লি এখনো বসে নেই—একে একে গোপন ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে মোদি ও অমিত শাহ, কখনোই নীরব থাকে না। তাদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি বিরাজ করছে, কারণ হাসিনাকে হারানোর বেদনায় তারা বিচলিত। দিল্লির আকাশ মাঝে মাঝে পরিষ্কার হলেও, মোদি সরকারের হতাশা যেন কমছে না। ভারতীয় সাম্রাজ্যের আধিপত্য খোঁজার চেষ্টা এখনও শেষ হয়নি, এবং হয়তো রবি ঠাকুরের "দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়" এই লাইনটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তোলে—কিছুই স্থায়ী নয়।

হাসিনা এখন ভারতের জন্য এক গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, এবং ভারত তাকে নিজেদের দেশে রাখতে চাইছে না। ভারতীয় জনমতও এখন হাসিনা বিরোধী। তারা চান না, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটুক। তবে, দিল্লির মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা রয়েছে—অথবা বলা যায়, "হাসিনাকে বিদায় দিলে বাংলাদেশকে অশান্ত করা যাবে, তবে তাকে অন্য কৌশলে রেখে কিছু ক্ষতি হবে না"।

ভারত এখন হাসিনাকে একদিকে তাড়াতে চাচ্ছে, আবার অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারছে না। মোদি সরকারের কাছে এখন একটি আপা কৌশলও রয়েছে। হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই টানাপড়েনের মধ্যে মোদি সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, সরকারিভাবে তাকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে না, কারণ ভারতীয় আইন অনুযায়ী এমন কোনো বিশেষ বিধান নেই।

তবুও, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে মোদি সরকার তাকে বৈধভাবে ভারতে থাকার অনুমতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের রিপোর্টের পর যে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়েছিল, তা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হবে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেতের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হলেও, দিল্লি এখন সাপ ও লাঠি দুটোই বাঁচানোর চেষ্টা করছে—একদিকে হাসিনাকে অন্য কোথাও পাঠানোর সুযোগ তৈরি করছে, আর অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপও প্রশমিত করার চেষ্টা করছে।

এভাবেই দিল্লি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে কোনো দিক থেকে তাদের ক্ষতি না হয়।

আয়শা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ