নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, কারা এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে, যারা শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চাইছে? যদিও এই প্রশ্নটি বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, তার উত্তর এখনও স্পষ্ট হয়নি।

গত ৫ আগস্ট, আন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। তবে, গণহত্যার বিচার শুরুর আগেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একদল ইনসাইডার গোপনে কাজ করে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, এই ইনসাইডাররা কারা?

১৫ বছরের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ফলে শেখ হাসিনা শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছেন, এবং অনেকেই সন্দেহ করছেন যে, হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি ভারতে থেকে পুনরায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছেন। এই ধরনের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের শীর্ষ ১৪ জন ইনসাইডার, যারা গোপনে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন। সম্প্রতি, আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়রের ফেসবুক পোস্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সায়রের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কেন্দ্রে কিছু উপদেষ্টা, যারা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারে প্রবেশ করেছেন, তারা কখনও চাননি যে, সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসুক। তারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন, বিশেষত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিতরে।

এদিকে, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ইনসাইডারদের বিষয়ে আভাস দিয়েছেন সায়র। তার পোস্টে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নয়জন, এবং পাঁচজন আউটসাইড এক্টর গোপনে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। তারা আসন্ন নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম "টাইমস অফ ইন্ডিয়া" একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশে ফিরবেন। প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেতৃত্বে আবার ফিরে আসবেন।

এছাড়া, হাসনাত আব্দুল্লাহ শেখ হাসিনার ফিরে আসার বিষয়ে আশঙ্কাজনক মন্তব্য করেছেন, যা থেকে জানা যায় যে, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার গোপন তৎপরতা চলছে এবং তার ব্যাপারে উচ্চপর্যায়ের মহলও অবগত রয়েছে। তবে, দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার খুঁজছেন কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

তবে, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে যারা কাজ করছে, তারা শুধুমাত্র ১৪ জন ইনসাইডার নাকি ধীরে ধীরে আরও অনেকের মুখোশ খুলে যাবে, তা সময়ই বলে দেবে।

সোহাগ/