ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১

বাংলাদেশের ফোনকল মনিটরিংয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রভাব

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ২০ ২২:১৫:১৯
বাংলাদেশের ফোনকল মনিটরিংয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অনেক সময় নানা কৌশল ও চালে ভারতকে সহযোগিতা নিতে বাধ্য হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রয়ের সাহায্য নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর মাধ্যমে ফোন নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং সেই প্রস্তাবে সবুজ সংকেতও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিডিয়া আউটলুক তাদের এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পরও বাংলাদেশ সরকারের এসসেভেন মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত নাকচ করা হয়। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রথমে ঢাকায় স্টেশন প্রধান আপত্তি জানান, পরে সাবেক প্রধান নির্বাচনও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।

এসসেভেন সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতীয় গোয়েন্দারা বাংলাদেশে যেকোনো ভয়েস কলের তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে তারা ভারতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের ভয়েস কলের ডেটা সংগ্রহ করতে পারত। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো লিঙ্ক না থাকার কারণে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই সিস্টেম ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, যাতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর, কলের সময়, অবস্থান ও অন্যান্য মেটাডেটা সংগ্রহ করতে পারেন।

এছাড়া, ভারত একটি সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে ভয়েস কল এবং ডেটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হতো। এর মাধ্যমে ভারতীয় গোয়েন্দারা বাংলাদেশে আসা ও যাওয়া সব ভয়েস কল এবং ডেটা সংগ্রহ করতে পারত।

ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তারা একত্রিত হয়ে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ এটি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, অনেক কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয় এবং কিছু কর্মকর্তাকে কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বদলি করা হয়।

এছাড়া, শেখ হাসিনার শাসনকালে ডিজিএফআই-এর পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ