সদ্য সংবাদ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বর্তমানে দেশে এক উত্তপ্ত রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে একটি পোস্ট প্রকাশ করে এই বিতর্কের সূচনা করেছে। তবে, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে, বর্তমানে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে, জুলাই মাসের আন্দোলনের পর থেকেই এই দাবি পুনরায় জোরালোভাবে ওঠে। গত কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, "আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করলে বাংলাদেশের রাজনীতি আরও বিশৃঙ্খল হয়ে যাবে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই, বরং তাদের নিষিদ্ধ করা উচিত।" তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরলে জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে, এবং যদি তাদের ফিরতেই হয়, তবে তা শুধু লাশের উপর দিয়েই সম্ভব।"
এই পোস্টের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, "যদি কোনো ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ না থাকে, তবে তাদের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "যদি তারা অপরাধে জড়িত না হয়, যেমন ছাত্র হত্যা বা অর্থপাচারের মতো কর্মকাণ্ডে, তাহলে কেন আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না?"
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী দলের আমির শফিকুর রহমান ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, "আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন জনগণ মেনে নেবে না। জামায়াত মনে করে, আওয়ামী লীগের ৩৬ বছরের ইতিহাস শেষ হয়ে গেছে, এবং তা নতুন করে শুরু করার কোনো সুযোগ নেই।" তিনি আরও বলেন, "এসময় জনগণ শুধু গণহত্যার বিচার দেখতে চায়, আর কিছু ভাবার সুযোগ নেই।"
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতের আমিরের এই বক্তব্য এনসিপি নেতার মতাদর্শের সঙ্গে মেলে, যা হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবি সমর্থন করে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, "আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে নই। একটি দল কখনোই তার সদস্যদের কারণে খারাপ হতে পারে না। যদি দলের মধ্যে কিছু সদস্য খারাপ আচরণ করে, তবে পুরো দলকে দায়ী করা উচিত নয়।" তিনি আওয়ামী লীগের নেতিবাচক দিকগুলোতে ভ্রান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করলেও দলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফমো বাহাউদ্দিন নাসিম সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, "এ বিষয়ে আমি স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করতে চাই না, তবে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।"
এভাবে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নানা মত প্রকাশ করেছে। বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, এবং শিগগিরই এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
— আরিফ হাসান
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- কবে চালু হবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা!
- সরকারি কর্মচারীদের পথ চিরতরে বন্ধ
- চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ
- বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’তে আগুন: সিসিটিভিতে ধরা পড়ল অজ্ঞাত যুবক
- তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু নিয়ে গুজব: আসল ঘটনা কী?
- চট্টগ্রাম-১১ বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- ড. ইউনূস প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য
- মোহামেডানের জার্সিতে খেলবেন মুস্তাফিজ
- ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রির গোপন ৭ দফা চুক্তি ফাঁস
- ৮ রানে ৬ উইকেটের পতন, ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশ গড়ল লজ্জার রেকর্ড
- যেভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান গোপনে পর্নোগ্রাফি দেখছে
- টকশোতে মুখোমুখি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুস
- স্বর্ণের দাম কোথায় যাবে আগামী ৫ বছরে! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- এখন আর চুপ করে থাকবেন না — নেতা-কর্মীদের শেখ হাসিনা