ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

আ.লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া নির্বাচন ম্যানিপুলেটেড হবে: জিএম কাদের

২০২৫ মার্চ ২২ ২১:৫৭:৪৮
আ.লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া নির্বাচন ম্যানিপুলেটেড হবে: জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি (জাপা) বাদ দিয়ে নির্বাচন করা হলে তা কখনোই নিরপেক্ষ হতে পারে না, এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তিনি বলেন, “যদি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে দেশে অর্ধেক জনগণ নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন একটি নির্বাচন কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু বা নিরপেক্ষ হতে পারে না। শেখ হাসিনা প্রতিযোগী কমানোর রাজনীতি করে কখনো সফল হয়নি, আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।”

শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, “যেই ক্ষমতায় আসে, সে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না এবং নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে। তবে দেশবাসী ম্যানিপুলেটেড নির্বাচন মেনে নেবে না। তারা অর্ধেক জনগণ নিয়ে নির্বাচন করবে, নিজেদের ভাগবাটোয়ারা করবে এবং দেশের ক্ষতি করবে—এটি দেশবাসী মেনে নেবে না।”

তিনি আরও দাবি করেন, “জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমি নেতাকর্মীদের বলব, আপনাদের জনগণের মাঝে থাকতে হবে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে হলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেখানে বাধা দেওয়া হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়া হবে।”

জিএম কাদের বলেন, “অনেকের ওপর ক্ষমতার নেশা আছর করেছে, যা তাদের পাগল করে দিয়েছে। ক্ষমতার প্রলোভনে তারা নানা ধরনের নীতি গ্রহণ করছে, এবং এর মাধ্যমে জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতদিন আমরা এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিইনি, কিন্তু এখন এর গুরুত্ব বুঝতে পারছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিলাম, ২৭০ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিল, কিন্তু সে বিষয়ে আজ কেউ কথা বলে না। এরশাদকে স্বৈরাচার বলা হয়—এটা যেন একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকার প্রধানই কমবেশি স্বৈরাচারী ছিলেন।”

জিএম কাদের বলেন, “আমরা সবাই জানি, আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম এবং আমাদের অবদান সবাই জানে। কিন্তু এখন আমাদের মিটিং মিছিলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে, পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে এবং ইফতার মাহফিলে হামলা করা হচ্ছে। জনগণ যেন আমাদের ভুলে না যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যদি পুলিশ কার্যকর না থাকে, তবে আমরা সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা করি। জনগণ মনে করে, যদি কেউ না দেখে, তবে সেনাবাহিনী দেখবে। কিন্তু এখন সেনাবাহিনীও ডিস্টার্ব হচ্ছে, যা জনস্বার্থের পক্ষে নয়।”

এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির আহমেদ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, দলের মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, পীরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি নুরে আলম যাদু মিয়া, জাতীয় যুব সংহতির নেতা নাজিম উদ্দিনসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

— রানা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত