সদ্য সংবাদ
শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত বহু আগেই জানত ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময়, ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে দেখা হত। তবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের পর এই সম্পর্কের দৃশ্যপট বদলে যায় এবং শেখ হাসিনার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সাত মাস পর, ভারত একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, ভারত আগেই জানতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কী ঘটতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানিয়েছেন ইশতিয়াক হোসেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত, যা জুলাই মাসে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে তীব্র হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে এবং আন্দোলনকারীরা জয়ী হয়। এরপর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন।
এই অভ্যুত্থানের পর, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তবে দুই দেশই সম্পর্কের উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগেই ভারত জানতো তার বিরুদ্ধে কীভাবে জনমত গঠন হচ্ছে।
এমন মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, যদি ভারত শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছিল, তাহলে কেন তারা জুলাই মাসের সংকট থেকে তাকে সাহায্য করেনি? এস জয়শংকর জানিয়েছেন, ভারতের পর্যাপ্ত প্রভাব না থাকার কারণে তারা কিছু করতে পারেনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'দ্য হিন্দু' থেকে আরও জানা গেছে, অন্যান্য বড় আন্তর্জাতিক শক্তির মতো ভারতও বাংলাদেশের ভেতরের অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল। এস জয়শংকর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভয়ালকার তুর্কের বক্তব্যও উল্লেখ করেছেন, যেখানে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করতে বলেছিল।
এদিকে, পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা এস জয়শংকরের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আরও আলোচনা করেছেন, যেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ছাড়াও মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। জয়শংকর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) নিয়েও আলোচনা করেছেন। ২০১৪ সালের পর থেকে এই সংস্থার কোনো শীর্ষ সম্মেলন হয়নি, কারণ ২০১৬ সালে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলার পর পাকিস্তানের নির্ধারিত ১৯তম সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এরপর থেকে ভারত বিমস্টেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যার কারণে সার্ক কার্যক্রম অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তবে এস জয়শংকর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সার্ক বাতিল হয়নি, বরং বিরতিতে আছে, এবং এটি ভবিষ্যতে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত দেশগুলো সার্কের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে নিজেদের সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে। এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি, বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কিভাবে পরিবর্তিত হয়।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দেবে যে দেশ
- বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- কবে চালু হবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা!
- চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ
- ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’তে আগুন: সিসিটিভিতে ধরা পড়ল অজ্ঞাত যুবক
- তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু নিয়ে গুজব: আসল ঘটনা কী?
- চট্টগ্রাম-১১ বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- কারাগারে ব্যারিস্টার সুমনের ‘ঝুলন্ত মরদেহ’ উদ্ধার যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের পথ চিরতরে বন্ধ
- ড. ইউনূস প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য
- জীবনসঙ্গী কি ভাগ্যে লেখা নাকি নিজের কর্মফল!
- ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেপে উঠল ইসলামাবাদ
- মোহামেডানের জার্সিতে খেলবেন মুস্তাফিজ
- ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রির গোপন ৭ দফা চুক্তি ফাঁস
- যেভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান গোপনে পর্নোগ্রাফি দেখছে