ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

রোজাদারের দুটি খুশির সংবাদ

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ২৬ ১৬:২৬:০৯
রোজাদারের দুটি খুশির সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে রোজা রাখা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের জন্য ফরজ। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো।” (সূরা বাকারা: ১৮৩)

অপর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, “রমজান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, মানুষের পথপ্রদর্শক এবং হেদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনা হিসেবে, এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে, আর যে পীড়িত বা সফরে আছে, সে অন্য সময়ে এই সংখ্যা পূরণ করবে।” (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

এই পবিত্র মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে পরকালে জান্নাত লাভের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, এক মরুবাসী সাহাবী রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, "আমাকে এমন আমলের পথনির্দেশ দিন, যা করলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব।" নবীজি তাকে বললেন, "তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না, (পাঁচ ওয়াক্ত) ফরজ সালাত (নামাজ) আদায় করবে, ফরজ যাকাত আদায় করবে এবং রমজানের সাওম (রোজা) পালন করবে।"

পরে ওই সাহাবী বললেন, "আমার প্রাণ যার হাতে, আমি এর বেশি কিছু করব না।" তারপর তিনি চলে যাওয়ার পর, রাসুল (সা.) বললেন, "যদি কেউ জান্নাতি লোক দেখতে চায়, সে যেন এই লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৩১৫)

রোজাদারের জন্য রয়েছে মহান পুরষ্কার। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রমজানের সিয়াম (রোজা) পালন করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রাত জাগরণ (ইবাদত) করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬৫৪)

হাদিসে দুটি সময়ের উল্লেখ রয়েছে, যেগুলোর জন্য রোজাদার খুশি হবেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, রোজা ছাড়া আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম (রোজা) আমার জন্য, তাই আমিই এর প্রতিদান দেব। সিয়াম (রোজা) ঢাল স্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি একজন সায়িম (রোজাদার)।"

নবীজি আরও বলেন, "যার কবজায় মুহাম্মদের (সা.) প্রাণ, তাঁর শপথ! সায়িমের মুখের গন্ধ আল্লাহ্‌র নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও সুগন্ধি। সায়িমের (রোজাদার) জন্য রয়েছে দু’টি খুশি, যা তাকে খুশি করে। যখন সে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৭৮৩)

রানা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ