নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি সাব্বির রহমান বিডি ক্রিকটা ডটকম-এ এক সাক্ষাৎকারে জানান, ২০১৬ আইপিএল মৌসুমে ভালো পারফরম্যান্সের পর মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। ধোনি তাকে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭ আইপিএল মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কারণে এনওসি দেয়নি। এর ফলে চেন্নাই সুপার কিংসও তাকে দলে নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি, কারণ তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়নি।

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ২০১৭ সালে আইপিএল শুরু হয়েছিল এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে, আর মে মাসে বাংলাদেশে ছিল আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড অংশগ্রহণ করেছিল। সেই সময় সাব্বির রহমান বাংলাদেশ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, এবং তার অনুপস্থিতি ছাড়া বাংলাদেশ দল সিরিজে অংশ নিতে চাইত না। যদিও এই সিরিজের কোনো বড় প্রতিযোগিতা ছিল না, এটি ছিল প্রস্তুতিমূলক সিরিজ।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের ১০ জন প্রধান ক্রিকেটার আইপিএলে অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন কোরি অ্যান্ডারসন, মার্টিন গাপটিল, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, অ্যাডাম মিলন, এবং কেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তাদের প্রধান খেলোয়াড়দের আইপিএলে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে তারা উচ্চমানের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছেছিল এবং তারা নিয়মিতভাবে টুর্নামেন্টে কনসিস্টেন্ট ছিল।

সাব্বির যদি আইপিএলে খেলতেন, তবে তার ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো। তিনি আরও বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতেন, যা তার দলের জন্য সহায়ক হতো। বাংলাদেশের ব্যাকআপ বেঞ্চও আরও শক্তিশালী হতো, এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও ভালো প্রস্তুতি নিতে পারতো। এছাড়া, সাব্বিরের মতো একজন ক্রিকেটার যদি আইপিএলে থাকতেন, তার ক্যারিয়ারের দীর্ঘায়ু এবং দায়িত্ববোধ আরও শক্তিশালী হতো।

মহেন্দ্র সিং ধোনি সাব্বিরকে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সি পরাতে চেয়েছিলেন, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের একটি বড় সুযোগ। আইপিএলে খেলার মাধ্যমে সাব্বিরের দক্ষতা এবং টিম কম্বিনেশন আরও শক্তিশালী হতে পারতো, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারতো।

বর্তমানে সাব্বির টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও ভালো করছেন। তার ব্যাকলেগে ব্যালেন্স এবং স্টেবিলিটি বেড়েছে, যা তার কঠোর প্র্যাকটিসের ফল। আগামীতে সাব্বির যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বা অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে।

সবশেষে, আমি বিশ্বাস করি সাব্বিরের ক্যারিয়ারে এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে, এবং তার ভবিষ্যতের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষা করছি।

সোহাগ/