ঢাকা, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

সেনাপ্রধানের ইমামতিতে নামাজের ছবি, আসল তথ্য ফাঁস

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ২৮ ১০:১৫:০০
সেনাপ্রধানের ইমামতিতে নামাজের ছবি, আসল তথ্য ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাগরিবের নামাজে ইমামতি করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান। ছবিটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই সেনাপ্রধান প্রশংসায় ভেসে যান, তবে কিছু নেটিজেন তির্যক মন্তব্যও করেছেন। এসব মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন সেনাপ্রধানের বন্ধু এবং বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালের সম্পাদক আবু রুশদ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। তিনি সেনাপ্রধানের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এক সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। ইফতার শেষে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা মাগরিবের নামাজে অংশ নেন। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান নামাজে ইমামতি করেন, তার পেছনে নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনসহ অন্যান্য অতিথিরা।

এই ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান প্রশংসিত হন, তবে কিছু নেটিজেন তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন। এসব মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের বন্ধু, সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালের সম্পাদক আবু রুশদ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।

তিনি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান তার যৌবনেও ইমামতি করতেন।” তিনি আরও জানান, “জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীতে আমার কোর্সমেট এবং রুমমেট ছিলেন। আমরা একসাথে দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। সে সময় আমাদের জীবনে নানা কঠিন অভিজ্ঞতা ছিল, তবে সেনাপ্রধান কখনও নামাজ বাদ দিতেন না, সব সময় অযু করে নামাজ পড়তেন।”

আবু রুশদ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, “তরুণ বয়সে জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান ছিলেন অতি নরম মনের একজন মানুষ। আমরা যখন কঠিন মিলিটারি জীবন কাটাতাম, তখন তিনি কখনও অসভ্য ভাষা ব্যবহার করতেন না।”

তিনি বলেন, “নবী রাসুল ছাড়া পৃথিবীর কোন মানুষই পাপমুক্ত নয়। সেনাপ্রধানের রাজনৈতিক সমালোচনা থাকলেও, তার ব্যক্তিগত জীবন ও ইমামতি দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ তিনি সবসময় নামাজ পড়তেন এবং ইমামতি করতেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “সমালোচনা করা সবার অধিকার, তবে সেটা সভ্য ও শালীনভাবে করা উচিত। সেনাপ্রধানের নামাজ পড়া ও ইমামতি করার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত দায়িত্ব এবং এটি তাকে ফরজ হওয়ায় তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন।”

এসআই রাজ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ