ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, প্রাণহানির সংখ্যা ১৪৪

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ২৮ ২২:০৬:০৩
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, প্রাণহানির সংখ্যা ১৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৪৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। এছাড়া, ভূমিকম্পে ৭৩২ জন আহত হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বিবিসি বার্মিজের বরাতে বলা হয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রাজধানী নেপিডোতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৯৬ জন মারা গেছেন। মান্দালয়ে ৩০ জন এবং সাগাইং শহরে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ভূমিকম্পের কারণে থাইল্যান্ডে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে, যেখানে ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের ছয়টি রাজ্য এবং থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পে রাস্তাঘাটসহ বহু ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে। মিয়ানমারের ইতিহাসে এটি একটি অত্যন্ত ভয়াবহ ভূমিকম্প, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জন্য নতুন এক সংকট তৈরি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে ১৭২ কিলোমিটার দূরের সাগাইং শহর। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, এর প্রভাব থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, লাওসসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের একটি মসজিদ আংশিকভাবে ধসে পড়ে, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বাঘ অঞ্চলে মসজিদের একাংশ ধসে পড়ে, সেখানে নিহতদের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া, মিয়ানমারের ইরাবতী নদীর ওপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ৯১ বছরের পুরানো আভাসেতু ধসে পড়েছে। মিয়ানমারের বহু ভবন, রাস্তাঘাট এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসে পড়ে, এতে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। ভবনটি সরকারি অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছিল।

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং দুই দেশই আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছে।

সোহাগ/

ট্যাগ: ভুমিকম্প

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ