নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্যু একটি চিরন্তন ঘটনা, যা একবার ঘটলে আর পালানোর পথ থাকে না। তবে, সম্প্রতি এক কিশোরের প্রত্যাবর্তন এমন একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা হিসেবে সামনে এসেছে, যা সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে। এক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হয়ে দাফনসহ সব কিছু শেষ হওয়ার পর, আড়াই মাস পর সেই কিশোর জীবিত হয়ে ফিরে এসেছে তার বাড়িতে।

এই আশ্চর্য ঘটনা পুরো গ্রামে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, "একজন মানুষ দাফন হয়ে গেছে, আর আড়াই মাস পরে সে আবার জীবিত হয়ে বাড়ি ফিরেছে! এমন ঘটনা আগে কখনো শুনিনি বা দেখিনি।"

কিশোরটির নাম তোফাজ্জল হোসেন তুফান, সাইদুর রহমান ও আমিনা খাতুনের ছোট ছেলে। ১৪ জানুয়ারি সে ঢাকা এসেছিল বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে, কিন্তু এক অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনায় সে রাজধানীতে হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে এবং জানুয়ারির ১৫ তারিখে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর দেয়।

কিছুদিন পর তার পরিবার গাইবান্ধা জেলা থেকে খবর পায়, তাদের ছেলের চেহারা একজন আহত কিশোরের সাথে মিলে যাচ্ছে। তারা দ্রুত গাইবান্ধা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার পর ওই কিশোর মারা যায়। তারপর তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে, আড়াই মাস পর সেই কিশোর জীবিত হয়ে ফিরে আসে!

তোফাজ্জল হোসেন নিজে এই বিষয়ে বলেন, "আমি জানতাম না যে, আমাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমি তো নিজেই জানতাম না আমি মরেছি। যখন বাড়িতে ফিরলাম, সবাই অবাক হয়ে গেল। আমার কবর দেখতে গিয়ে আমি নিজেও অবাক হয়েছি।"

অবশেষে জানা যায়, তুফান ঢাকা গিয়ে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিল। ঈদের ছুটিতে ভাগ্যের পরিণতিতে সে বাড়ি ফিরে আসে এবং জানায়, "আড়াই মাস আগে আমার মৃত্যু হয়েছিল, আর এখন আমি ফিরে এসেছি।"

এখন গ্রামবাসী সকলেই হতবাক, তবে তাদের মধ্যে আরো বড় প্রশ্ন উঠছে, "তাহলে যে মরদেহটি দাফন করা হয়েছিল, তা আসলে কার?" এই বিষয়টি এখনো রহস্যে ঘেরা, এবং কেউ কেউ মনে করছেন, এই ঘটনার পেছনে কোনো অজানা রহস্য থাকতে পারে।

এই ঘটনা এখন পুরো গ্রামে এক আশ্চর্য কাহিনীতে পরিণত হয়েছে, যার শেষ পরিণতি হয়তো আমরা কখনো জানব না।

আয়শা/