সদ্য সংবাদ
পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকছেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ড. ইউনূসকে নিয়ে সার্জিস আলমের মন্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একজন নোবেল বিজয়ী, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির বাইরে ছিলেন, বাংলাদেশে সংকটকালে ছাত্রদের অনুরোধে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এখন, সেই ছাত্রদের একজন মুখপাত্র হঠাৎ করে ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই ঘোষণার মাধ্যমে তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ নতুন আশায় বুক বাঁধছে। তাদের কাছে ড. ইউনূস হচ্ছেন একজন দুর্নীতিমুক্ত, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং বাংলাদেশের রাজনীতির মূল সিস্টেমের বাইরে থাকা ক্লিন নেতা। সামাজিক মাধ্যমে ছাত্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অনেক মানুষও তার নেতৃত্বে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বন্দ্বে ক্লান্ত, তারা ড. ইউনূসকে একটি নতুন পথ হিসেবে দেখছেন।
বিএনপি, যেটি দীর্ঘদিন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে, এখন ড. ইউনূসের আবির্ভাবের পর তাদের রাজনৈতিক কৌশলে কিছুটা টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। তারা সংস্কার কাজের জন্য সহায়তার পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। অন্যদিকে, ড. ইউনূসকে নিয়ে ছাত্ররা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এমনটা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মতে, ড. ইউনূস যদি ছাত্রদের আহ্বানে রাজনীতিতে সক্রিয় হন, তবে তার নেতৃত্বে একটি শিক্ষিত তরুণ এবং নাগরিক সমাজভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে দুর্নীতিমুক্ত ও দক্ষ প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন হতে পারে। তবে, যদি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হয়, তবে নতুন রাজনৈতিক শক্তি সংগঠিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকবে না, যা পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সুবিধাজনক হবে। বিএনপি এ কারণেই দ্রুত নির্বাচন চায় যাতে তৃতীয় পক্ষ শক্তিশালী হয়ে উঠতে না পারে।
ড. ইউনূস রাজনীতিতে সক্রিয় হলে, দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং জনগণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, যা সরকার ও বিরোধী পক্ষের জন্য চাপ তৈরি করবে। তরুণ ভোটার, প্রথমবারের ভোটার, এবং যারা রাজনীতিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে—এই তিন শ্রেণীর ভোটার তার শক্তির উৎস হতে পারে।
সবশেষে, এই সম্ভাব্য রাজনীতি এবং নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ। যদি ড. ইউনূস জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন এবং তাদের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হন, তবে তিনি শুধুমাত্র একটি বিকল্প নেতা হবেন না, বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটাতে পারবেন। তবে তার পথ সহজ হবে না, কারণ সামনে রয়েছে পুরনো কাঠামো, সংঘাতময় রাজনীতি এবং আস্থার সংকট—যেগুলো তাকে অতিক্রম করেই সামনে এগোতে হবে।
রনি/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- প্রথম গ্রেড অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা
- নিজের কুমারীত্ব ১৮ কোটিতে নিলামে বিক্রি করলেন কলেজ ছাত্রী
- বাংলাদেশকে কঠিন শাস্তি দিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
- মাত্র তিন মিনিটে দুই দফা ভূমিকম্প
- ভাতিজি যখন বউ থেকে পরিণত হয়েছেন দানবে
- ভূমিকম্পে কাঁপলো করাচি, আতঙ্কে রাস্তায় জনসাধারণ
- ৪ মাফিয়া ছাড়া হাসিনার কাছে পাত্তা পেতেন না কেউ
- সার্জিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস: ৭ এপ্রিল হরতাল, যা জানা গেল
- নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন ইমরান খান
- টাকা না থাকায় টয়লেটে থাকেন ১৮ বছরের মেয়ে
- বাংলাদেশে নতুন যুগের সূচনা: হাসিনার খেলার সমাপ্তি
- ০২ এপ্রিল, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী তানিফার মর্মান্তিক মৃত্যু
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতের প্রতিক্রিয়া