সদ্য সংবাদ
মুসলমানদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ট্রাম্পের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুসলমানদের জন্য হোয়াইট হাউসে জাকজমকপূর্ণ ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করে ট্রাম্প, সেই সঙ্গে বিশ্ব মুসলিম জাতিকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের প্রতি সবসময় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, কেন হঠাৎ এক সময়ের মুসলিম-বিরোধী ট্রাম্প মুসলমানদের পাশে থাকার কথা বললেন? এর পেছনে কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রমজান মাস উপলক্ষে মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "রমজানের পবিত্রতা ও গুরুত্ব স্বীকার করে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে একটি জাকজমকপূর্ণ ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেছি।" এই অনুষ্ঠানে মুসলিম আমেরিকার নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তারা এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, "রমজান মোবারক! নভেম্বরে মুসলিম সম্প্রদায় আমাদের পাশে ছিল, যতদিন আমি প্রেসিডেন্ট আছি, আমি আপনাদের পাশে থাকবো।" তাঁর এই বক্তব্য অনেকের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে, কারণ অতীতে মুসলমানদের প্রতি তাঁর কঠোর নীতির জন্য ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
বিশেষ করে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম আমেরিকানদের রেকর্ড সংখ্যক ভোট পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, "আমি হাজার হাজার মুসলিম আমেরিকানদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা আমাদের নির্বাচনে অবিশ্বাস্যভাবে সমর্থন দিয়েছেন।"
ট্রাম্পের এই বক্তব্য বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, মুসলিম সম্প্রদায়কে হঠাৎ সমর্থন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। বক্তৃতায় তিনি তার প্রশাসনের মুসলমানদের জন্য নেওয়া কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন, যেমন অর্থনৈতিক সহায়তা, শিক্ষানীতির সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, "আমি ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তির সম্প্রসারণ চাই, যা বাইডেন প্রশাসনের অধীনে স্থবির হয়ে পড়েছিল।"
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকরা। তিনি ঘোষণা দেন যে, আমির গালিব কুয়েতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং মেয়র বিলবাজি তুইসিনিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
তবে ট্রাম্পের মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাবকে অনেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে তাঁর প্রথম দফার শাসন আমলে মুসলিম নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর নীতি গ্রহণের বিষয়টি এখনো অনেকের মনে গেঁথে আছে। অনেকেই মনে করছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যেই ট্রাম্প এখন মুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিচ্ছেন, যদিও নির্বাচনের আগে তিনি কঠোর মুসলিম অভিবাসন নীতিতে ছিলেন।
এভাবেই, ট্রাম্পের এই নতুন অবস্থান নিয়ে নানা মতামত রয়েছে, এবং তার উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয়ও দেখা দিয়েছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- প্রথম গ্রেড অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা
- নিজের কুমারীত্ব ১৮ কোটিতে নিলামে বিক্রি করলেন কলেজ ছাত্রী
- বাংলাদেশকে কঠিন শাস্তি দিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
- মাত্র তিন মিনিটে দুই দফা ভূমিকম্প
- ভূমিকম্পে কাঁপলো করাচি, আতঙ্কে রাস্তায় জনসাধারণ
- সার্জিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস: ৭ এপ্রিল হরতাল, যা জানা গেল
- নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন ইমরান খান
- টাকা না থাকায় টয়লেটে থাকেন ১৮ বছরের মেয়ে
- বাংলাদেশে নতুন যুগের সূচনা: হাসিনার খেলার সমাপ্তি
- ০২ এপ্রিল, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী তানিফার মর্মান্তিক মৃত্যু
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতের প্রতিক্রিয়া
- ৮ মাত্রার বড় ভূমিকম্পের জন্য বাংলাদেশ কি প্রস্তুত
- ০৩ এপ্রিল, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট