সদ্য সংবাদ
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোবে না
-1200x800.jpg)
বাংলাদেশ ও ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। কিন্তু বর্তমানে এই সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশের জনগণের গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় তার ভারতে অবস্থান এবং সেখান থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো—বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারের কাছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও কোনো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের এই নীরবতা কেবল কূটনৈতিক নয়, বরং রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারা মনে করেন, ভারত এখনো মনে করে শেখ হাসিনাকে ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যেতে পারে—বিশেষ করে যদি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতি দুই দেশের অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সম্পর্ককেও প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করে থাকে, যা দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতার ভিত্তি। বাংলাদেশে অনেক ভারতীয় বিনিয়োগ রয়েছে, এবং ভারতীয় শ্রমিকদের জন্যও এটি একটি বড় বাজার। একইসাথে, বাংলাদেশের পর্যটকরা ভারতের পর্যটন খাতে বড় ভূমিকা রাখে। তাই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে—এই পারস্পরিক সুবিধাগুলো হুমকির মুখে পড়া।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন আর আগের মতো একতরফা থাকবে না। নতুন সরকারের নীতিমালায় জাতীয় স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভারত যদি পুরনো আচরণ চালিয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশও বিকল্প বাণিজ্য ও কূটনৈতিক পথ খুঁজবে—যেমন চীন, আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি।
বিশিষ্ট কূটনীতিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, শেখ হাসিনার ইস্যুতে একমাত্র সমাধান হতে পারে কূটনৈতিক স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা। ভারতের যদি সত্যিই দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা চায়, তাহলে তাদের উচিত হবে শেখ হাসিনার মতো বিতর্কিত ব্যক্তিকে আশ্রয় না দিয়ে আইনি ও ন্যায়বিচারের পথ অনুসরণ করা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষেও আবেগ নয়, বাস্তববাদী পররাষ্ট্রনীতির অনুসরণ করা জরুরি। কূটনৈতিকভাবে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া, দ্বিপাক্ষিক ফোরামে ভারতকে চাপ প্রয়োগ করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা সম্ভব।
সবশেষে বলা যায়, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার প্রশ্নটি কেবল একজন ব্যক্তিকে ঘিরে নয়—বরং এটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যতের নির্ধারক। যদি এ ইস্যুতে সঠিক ও ন্যায্য পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পথে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- একই ঘরে স্বামী নিয়ে মা-মেয়ের বসবাস
- নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সৌদি আরব ছাড়ার কঠোর নির্দেশনা
- হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল
- বিহারে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে প্রাণ গেল ৩৮ জনের
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর!
- বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- টাকার বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক কি ক্রীতদাসীর মতো বৈধ
- বাটা কোন দেশের কোম্পানি; যা জানা গেল
- ভাতিজি যখন বউ থেকে পরিণত হয়েছেন দানবে
- পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পেল বাংলাদেশ
- ইমাম মাহদীর আগমনের পূর্বে তিন মহাপুরুষের আগমন
- ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ উত্তেজনা
- ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির আভাস
- হাদিসে বর্ণিত সেই দলটি, যারা ফিলিস্তিন জয় করবে
- মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন