ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ২ বিশেষ কোটা বাদ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ০৮ ১০:৩৯:৪২
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ২ বিশেষ কোটা বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটানির্ভর পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ৬০% পদ নারী কোটায়, ২০% পোষ্য কোটা এবং ২০% পুরুষ কোটা হিসেবে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, কোটানির্ভর এই নিয়োগ পদ্ধতির কারণে প্রায়ই মেধার সঠিক মূল্যায়ন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অনেক সময় কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন, আবার কিছু প্রার্থী বেশি নম্বর পেয়ে বাদ পড়ছেন। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার এবার কোটানির্ভর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত *"সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫"* এর খসড়া ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। নতুন এই বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে নারী, পোষ্য এবং পুরুষ কোটা বাতিল করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে, কোটা ৭% এ সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বাকি ৯৩% পদ মেধার ভিত্তিতে পূর্ণ করা হবে। ৭% কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে ভাগ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৮ হাজার শূন্য পদ ছিল, যা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় আরও বাড়তে পারে।

প্রস্তাবিত বিধিমালায় কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি বড় পরিবর্তন হলো, সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে প্রধান শিক্ষক পদে ১০০% পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হবে।

বর্তমানে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৫৬৫টি, যেখানে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন, যার মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং নারী শিক্ষক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।

গত বছরের জুলাইয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে, উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে কোটা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যাতে মেধাভিত্তিক নিয়োগের জন্য ৯৩% এবং কোটা ৭% নির্ধারণ করা হয়। ৭% কোটা নিম্নরূপ ভাগ করা হয়েছে: মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫%, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জন্য ১% এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১%।

এই পরিবর্তনের ফলে, শিক্ষক নিয়োগে মেধার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে এবং কোটা ব্যবস্থার বৈষম্য কমে যাবে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সিদ্দিকা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!

বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অজানা কারণে শত শত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাভিসা বাতিল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা, তবে বাংলাদেশি,... বিস্তারিত

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত