সদ্য সংবাদ
পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত কেয়ামতের আগের ভূমিকম্প কেমন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমিকম্প—একটি নিঃশব্দ অথচ বিধ্বংসী শক্তি, যা এক মুহূর্তেই উল্টেপাল্টে দিতে পারে একটি শহর, একেকটি জনপদ। এটি পৃথিবীর একমাত্র দুর্যোগ, যার সময়, স্থান কিংবা মাত্রা—কিছুই আমরা আগেভাগে নির্ধারণ করতে পারি না।
এ এক ভয়াল নাম, যা মুহূর্তে স্তব্ধ করে দেয় স্বাভাবিক জীবনধারা। সুউচ্চ দালান-চূড়া ধসে পড়ে, মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এই ভূমিকম্প কেবলই কি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া? নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে কোনো মহান বার্তা?
পবিত্র কোরআনে একাধিকবার ভূমিকম্পের প্রসঙ্গ এসেছে। এমনকি ‘সূরা জিলজাল’ নামের একটি পূর্ণ সূরাও নাজিল হয়েছে, যেখানে সরাসরি কেয়ামতের সময়কার ভয়াবহ ভূমিকম্পের বিবরণ রয়েছে—
“যখন পৃথিবী প্রবলভাবে কেঁপে উঠবে, এবং তার ভেতরের সব কিছু বাইরে ফেলে দেবে, তখন মানুষ বলবে—এ কী ঘটল! সেদিন পৃথিবী তার সকল খবর জানিয়ে দেবে, কারণ তোমার প্রভু তাকে আদেশ করবেন।” (সূরা জিলজাল: আয়াত ১-৫)
এই আয়াতগুলো ইঙ্গিত দেয়, কেয়ামতের সূচনা হবে এক ভয়াবহ ভূকম্পনের মাধ্যমে। ইসলামী পণ্ডিতগণ বলেন—সেদিন মাটি বের করে দেবে তার অন্তর্নিহিত সব কিছু—মানুষের মৃতদেহ, তাদের কর্মফল, গোপন কথা এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ।
ভূবিজ্ঞান অনুযায়ী, পৃথিবীর অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটগুলো যখন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন সৃষ্ট হয় প্রচণ্ড চাপ ও উত্তাপ। এই উত্তাপে গলে যাওয়া ম্যাগমা উপরের দিকে উঠে এসে সৃষ্টি করে আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্প।
কোরআনের ভাষায় এই ঘটনাকে বলা হয়েছে—“পৃথিবী তার বোঝা বের করে দেবে।” এ যেন আধুনিক বিজ্ঞানকেও ছুঁয়ে যাওয়া এক ঐশী বার্তা।
আল্লাহ বলেন—
“হে মানুষ! তোমাদের প্রভুকে ভয় করো। নিশ্চয় কেয়ামতের কম্পন এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। সেদিন স্তন্যদায়ী নারী নিজের শিশুকে ভুলে যাবে, গর্ভবতী নারী গর্ভপাত করবে, আর মানুষকে দেখাবে মাতালের মতো, যদিও তারা মাতাল নয়— বরং এটা আল্লাহর শাস্তির ভয়াবহতা।” (সূরা হজ: আয়াত ১-২)
এই আয়াতগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—এই পৃথিবী চিরস্থায়ী নয়। প্রতিটি ভূমিকম্প যেন এক নীরব বার্তা, আমাদের হৃদয়ে তৈরি করে আত্মজিজ্ঞাসার কম্পন—আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?
কোরআন আমাদের শেখায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেবল শাস্তি নয়, বরং সতর্কবার্তা। আল্লাহ বলেন—
“তোমাদের যেসব বিপদ আসে, তা তোমাদের নিজেরই কাজের ফল। আর আল্লাহ তোমাদের অনেক পাপ ক্ষমা করে দেন।” (সূরা শূরা: আয়াত ৩০)
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—অনেক জাতি তাদের অবাধ্যতার ফলস্বরূপ ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সূরা আরাফ-এ উল্লেখ আছে এমন ছয় জাতির ধ্বংসগাথা, যাদের অবহেলা, অহংকার এবং পাপই তাদের পতনের কারণ।
আজ, যখন আমরা বিজ্ঞানের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারি না, তখনই বুঝতে পারি—সত্যিকারের শক্তির অধিকারী কে।
এই পৃথিবী মাঝে মাঝে কাঁপে, যেন আমাদের বলে—“থেমে যাও, ভাবো, ফিরে এসো…” ভূমিকম্প কেবল মাটি কাঁপায় না, সে কাঁপায় আত্মাও। আর সেই কাঁপনেই নিহিত থাকে পরিবর্তনের সুযোগ।
—সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- একই ঘরে স্বামী নিয়ে মা-মেয়ের বসবাস
- বাংলাদেশকে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দেবে যে দেশ
- বিহারে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে প্রাণ গেল ৩৮ জনের
- মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন
- বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- টাকার বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক কি ক্রীতদাসীর মতো বৈধ
- পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পেল বাংলাদেশ
- ইতালিতে জামাতে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ
- ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’তে আগুন: সিসিটিভিতে ধরা পড়ল অজ্ঞাত যুবক
- ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ উত্তেজনা
- ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির আভাস
- চট্টগ্রাম-১১ বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- ফেসবুক লাইভে পুলিশের সহযোগিতা চাইলেন মডেল মেঘনা আলম
- তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু নিয়ে গুজব: আসল ঘটনা কী?
- কারাগারে ব্যারিস্টার সুমনের ‘ঝুলন্ত মরদেহ’ উদ্ধার যা জানা গেল