সদ্য সংবাদ
বাংলাদেশ পেল নতুন ভূখণ্ড, ভারত যেন পড়েছে দুশ্চিন্তার ঘোরে

বিশেষ প্রতিবেদন; দিল্লির রাত গভীর। চারপাশে নিস্তব্ধতা, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে টিমটিম করে জ্বলছে আলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডেস্কজুড়ে ছড়িয়ে আছে স্যাটেলাইট চিত্র, গোয়েন্দা প্রতিবেদন আর বিশ্লেষণধর্মী মানচিত্র। কারণ একটাই—বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়ছেই।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলে একের পর এক নতুন দ্বীপ জেগে উঠছে। এসব নতুন ভূখণ্ড শুধু বাংলাদেশের মানচিত্রকেই বড় করছে না, বরং পাল্টে দিচ্ছে গোটা অঞ্চলটির ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। ভারত তা ভালোভাবে নিচ্ছে না।
পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মোহনায় গত কয়েক বছরে জেগে উঠেছে ৫০টিরও বেশি নতুন দ্বীপ। চর কুকরিমুকরি, ওসমান, কামাল, তারুয়া ও গাঙ্গুলিয়া—আর ক্ষণস্থায়ী চর নয়, এসব এখন স্থায়ী ভূমিতে রূপ নিয়েছে। কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে জনবসতিও।
হিমালয় থেকে আসা বছরে এক বিলিয়ন মেট্রিক টনেরও বেশি পলি বঙ্গোপসাগরে জমা হচ্ছে, যার বড় একটি অংশই তৈরি করছে নতুন জমি। নদীভাঙনে প্রতিবছর প্রায় ৩২ বর্গকিলোমিটার জমি হারালেও, প্রকৃতি ফিরিয়ে দিচ্ছে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি।
বাংলাদেশের নতুন ভূখণ্ড মানেই শুধু ভূগোলের বদল নয়—এটি ভারতের জন্য নিরাপত্তা, কৌশল এবং আঞ্চলিক প্রভাবের ক্ষেত্রে এক নতুন চ্যালেঞ্জ। এসব দ্বীপের নিচে গ্যাস, কয়লা এবং খনিজসম্পদের সম্ভাবনা থাকায় অর্থনৈতিক গুরুত্বও অনেক। আর নৌবাহিনী ও বন্দর সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের সামুদ্রিক ক্ষমতা বাড়বে—যা ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
তার ওপর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ভারতের টেনশন আরও বাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে চীনা বিনিয়োগ, আর যদি এই নতুন দ্বীপগুলো বাণিজ্যিক বা সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত হয়—তাহলে ভারতের জন্য এটি হতে পারে “তিন ফ্রন্টের চাপ” (উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম)।
স্মরণ করুন ১৯৭০-এর দশকের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের ঘটনা। সেখানেও ছিল দ্বন্দ্ব, উত্তেজনা। শেষমেশ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে দ্বীপটি ভারতের হলেও, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সেটি হারিয়ে যায়। যেন প্রকৃতিই ভারসাম্য ফিরিয়ে দিয়েছিল।
এবারও ইতিহাস হয়তো নতুনভাবে ফিরছে, তবে বাংলাদেশের পক্ষে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পিতভাবে পলি ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন করলে আগামী কয়েক দশকে বাংলাদেশ প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি পেতে পারে—যা পশ্চিমবঙ্গের পুরো আয়তনের সমান।
ড. আব্দুল মতিন বলছেন, “এই দ্বীপগুলো প্রকৃতির উপহার, কিন্তু এদের কাজে লাগাতে হলে চাই পরিকল্পিত উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয়।”
ঢাকা জানিয়ে দিয়েছে, এই অগ্রগতি কারও বিরুদ্ধে নয়—এটি নিজেদের উন্নয়নেরই পথ। ভারতের মতো প্রতিবেশীর সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়াই বাংলাদেশের লক্ষ্য।
যখন সূর্য ডোবে বঙ্গোপসাগরের নীল জলে, চর কুকরিমুকরি, ওসমান আর গাঙ্গুলিয়ার ওপরে পড়ে শেষ আলো, তখন সেটি যেন এক নতুন আশার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে বলছেন, সৎ নেতৃত্ব থাকলে প্রকৃতিও পাশে দাঁড়ায়। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই ভূখণ্ড অর্জন যেন এক নতুন জাগরণের বার্তা।
এই দ্বীপগুলো শুধু নতুন জমি নয়—এগুলো স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করলেন যুবতী
- সরকারি কর্মচারীদের পথ চিরতরে বন্ধ
- কবে চালু হবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা!
- চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ
- বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু নিয়ে গুজব: আসল ঘটনা কী?
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- মোহামেডানের জার্সিতে খেলবেন মুস্তাফিজ
- ৮ রানে ৬ উইকেটের পতন, ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশ গড়ল লজ্জার রেকর্ড
- টকশোতে মুখোমুখি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুস
- স্বর্ণের দাম কোথায় যাবে আগামী ৫ বছরে! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- এখন আর চুপ করে থাকবেন না — নেতা-কর্মীদের শেখ হাসিনা
- "নির্বাচন নয়, ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর চাই!"
- ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা: কোটি ডলারের বাণিজ্যে ধস, দৃঢ় অবস্থানে বাংলাদেশ
- লাফিয়ে বাড়ছে সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম