ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

তিস্তা ইস্যুতে সরব চীন, নীরব ভারত: বদলে যাচ্ছে কৌশলগত ভারসাম্য

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৪ ২১:৩৮:৫৮
তিস্তা ইস্যুতে সরব চীন, নীরব ভারত: বদলে যাচ্ছে কৌশলগত ভারসাম্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তায় থাকা তিস্তা পানি বণ্টন নিয়ে নতুন মোড় নিতে শুরু করেছে। ভারতের প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়নের মাঝে বিস্তর ফারাকের মধ্যেই এবার দৃশ্যপটে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চীন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ইউনুসের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর, তিস্তা প্রকল্পে দৃশ্যমান হয়েছে এক নতুন বাস্তবতা।

চীন শুধু আগ্রহই দেখায়নি, তারা তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগ আনতেও প্রস্তুত। এই প্রকল্পের আওতায় রংপুর অঞ্চলে একটি আধুনিক, ১,০০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে বেইজিং, যা দুই দেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের স্মারক হিসেবে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।

হাসপাতালের জন্য সম্ভাব্য জায়গা হিসেবে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের মধ্যবর্তী একটি স্থান চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিস্তা নিয়ে ভারতের দীর্ঘকালীন নিস্ক্রিয়তা ও টালবাহানার প্রেক্ষাপটে চীনের এই সক্রিয় ভূমিকা শুধু উন্নয়ন নয়, কৌশলগতভাবেও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২০১১ সালে একটি খসড়া চুক্তিতে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানির ৩৭.৫% বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিকে সামনে রেখে চুক্তিটি আজও ঝুলে আছে। যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে বহু প্রকল্প চালু করেছে মমতার সম্মতি ছাড়াই, তিস্তার ক্ষেত্রে সেই যুক্তি প্রযোজ্য হয়নি—এটাই বাংলাদেশি বিশ্লেষকদের মূল অভিযোগ।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা POWERCHINA-এর সঙ্গে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই চুক্তির সময়সীমা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে, এবং "তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট (TRCMRP)"-এর মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের জন্য চাপ শুধু কূটনৈতিক নয়—কৌশলগতও। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের দীর্ঘদিনের ‘প্রভাব বলয়’ এখন আর আগের মতো নেই। নেপাল, ভুটান, এমনকি শ্রীলঙ্কাও এখন নিজেদের স্বার্থেই আলাদা অবস্থান নিচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব এই অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত তিস্তা ইস্যুতে একতরফা লাভবান হলেও পারস্পরিক দায়বদ্ধতা পালন করেনি। সেই জায়গা থেকেই চীনের সরাসরি অংশগ্রহণ ভারতের জন্য সতর্ক সংকেত। ভারত যেভাবে ‘প্ল্যান এ-বি-সি’ সাজিয়েছিল, তাতে এখন ব্যর্থতার ছাপ স্পষ্ট।

তিস্তা যদি চীনের সহায়তায় বাস্তবায়ন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত নয়—বরং দিল্লিকে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করে এগোতে হতে পারে।

রাকিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

আজকের সোনা ও রূপার দাম; ২১ এপ্রিল

আজকের সোনা ও রূপার দাম; ২১ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে সোনার বাজারে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও, ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কর্তৃক... বিস্তারিত

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত