ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

টকশোতে মুখোমুখি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুস

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৪ ২২:৪৫:৩৬
টকশোতে মুখোমুখি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুস

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি দেশের এক জনপ্রিয় টেলিভিশন টকশোতে মুখোমুখি হন বাংলাদেশের দুই আলোচিত ব্যক্তিত্ব—সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মুখোমুখি আলোচনা যেন রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে দর্শকমহলে। উঠে এসেছে রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতি ঘিরে বহু আলোচিত-সমালোচিত প্রসঙ্গ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দীর্ঘ অসুস্থতার পর টেলিভিশনের পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমতে, অনেক দিন পর দেশের মানুষকে আবার সরাসরি কিছু বলতে পারছি। আমার কারাবন্দি সময়ে যারা দোয়া করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”

রাজনীতি ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলনের পর আমরা একদল অবৈধ শাসকের কবল থেকে মুক্ত হয়েছি। এটা শুধু রাজনৈতিক জয় নয়, এ বিজয় বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন আমাদের প্রয়োজন গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়া—যেখানে তরুণরাই হবে মূল চালিকা শক্তি।”

অন্যদিকে ড. ইউনুস নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমি কখনোই রাজনীতিবিদ ছিলাম না, নইও। অনেকবার আমাকে দেশের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু আমি তা গ্রহণ করিনি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, যার যা কাজ, সে তাই করুক। আমি ব্যবসা করি সমাজের কল্যাণের জন্য, ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়।”

তিনি জানান, “গ্রামীণ টেলিকম একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি কারো ব্যক্তিগত মালিকানায় নয়। এর লভ্যাংশ দিয়ে আমরা নানা ধরনের সামাজিক উদ্যোগ পরিচালনা করি। গ্রামীণফোন থেকেও যে মুনাফা আসে, তা ব্যবহার করা হয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে। আমি টেলিনরকেও এই মডেলে আনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা রাজি হয়নি। তাই গ্রামীণ টেলিকমকেই সামাজিক ব্যবসার রোল মডেল হিসেবে চালাচ্ছি।”

টকশোতে সবচেয়ে আলোচিত অংশ ছিল ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন এবং তখন ড. ইউনুসের ভূমিকা নিয়ে। এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “সামরিক সরকার আমাকে ক্ষমতায় যেতে বলেছিল, কিন্তু আমি রাজি হইনি। আমি সারারাত তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, এটা আমার কাজ নয়। আমি রাজনীতি করতে চাইনি, এখনও চাই না।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিহিংসা নয়, ঐক্যই হোক আমাদের শক্তি।”

এই টকশো ছিল না শুধুই দুই বিশিষ্টজনের কথোপকথন—বরং এটি ছিল বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা, রাজনৈতিক অবস্থান ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক উন্মুক্ত মঞ্চ। কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন, কে কী বিশ্বাস করেন—সব কিছু যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই আলোচনা।

রিপোর্ট: সোহাগ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

আজকের সোনা ও রূপার দাম; ২১ এপ্রিল

আজকের সোনা ও রূপার দাম; ২১ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে সোনার বাজারে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও, ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কর্তৃক... বিস্তারিত

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত