সদ্য সংবাদ
ভারত এখন বিএনপিকে নিয়ে নতুন করে ভাবছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কি এখন বদলের পথে? ভারত কি এখন বিএনপিকে নতুন করে মূল্যায়ন করছে? এই প্রশ্নটি এখন আঞ্চলিক রাজনীতি এবং কৌশলগত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে জোরালোভাবে উঠছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিএনপি ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ ও দাবির বিষয়ে নমনীয় বা ইতিবাচক মনোভাব দেখায়, তাহলে দিল্লিও বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী হতে পারে।
গত কয়েক দশকে ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। অপরদিকে, বিএনপির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই ছিল কিছুটা শীতল এবং অবিশ্বাসভিত্তিক। দিল্লির রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করে, বিএনপির শাসনামল—বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত—ভারতের জন্য একেবারে স্বস্তিদায়ক ছিল না। সে সময় দুই দেশের সম্পর্কের ভিত দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, তারা ভারতবিরোধী নয়। বরং তারা চায়, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক হোক সমতা ও পারস্পরিক মর্যাদার ভিত্তিতে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন সুযোগ খুঁজেছিল। তাদের ধারণা ছিল, যেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, সেখানে বিজেপির সঙ্গে একটি ভিন্নধর্মী, নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। কিছুটা অগ্রগতি হলেও, শেষপর্যন্ত তা দৃঢ় ও কার্যকর হয়ে উঠেনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত একাধিক বিতর্কিত নির্বাচনে ভারতের নীরব সমর্থন অনেকটা বিএনপির মধ্যে ভারতের প্রতি অনাস্থার জন্ম দেয়।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর পাল্টে যাওয়া রাজনৈতিক বাস্তবতায়, বিএনপি-ভারত সম্পর্ক নতুনভাবে সাজানোর একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। দিল্লির কূটনৈতিক পর্যবেক্ষণ বলছে, এখন সময় এসেছে বিএনপিকে নতুন দৃষ্টিতে দেখার। কারণ একদিকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে বিএনপির আবার সক্রিয় ও সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অনেকে মনে করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এখন ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য ও কার্যকর অংশীদার হতে পারে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাসও স্বীকার করেছেন, তিনি বহুবার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল।
ভারতের বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্যও বলেছেন, তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চান। তবে তিনি এ-ও যোগ করেন, মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর থেকে বিএনপিকে পরিষ্কারভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বৃদ্ধি পাওয়াকে ভারতের কূটনৈতিক মহল ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। যদিও এখনো ভারতের একটি বড় উদ্বেগ হলো, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয়তা ও আশ্রয়।
সবকিছু মিলিয়ে ভারতের বর্তমান কৌশল বেশ পরিষ্কার—বাংলাদেশে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা, এবং যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের সঙ্গে কার্যকর কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা।
এই পটভূমিতে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদক ইমতিয়াজ আহমেদের একটি প্রশ্ন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে—“বিএনপিকে নিয়ে কী ভাবছে ভারত?”
–সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করলেন যুবতী
- সরকারি কর্মচারীদের পথ চিরতরে বন্ধ
- কবে চালু হবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা!
- চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ
- বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু নিয়ে গুজব: আসল ঘটনা কী?
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- মোহামেডানের জার্সিতে খেলবেন মুস্তাফিজ
- ৮ রানে ৬ উইকেটের পতন, ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশ গড়ল লজ্জার রেকর্ড
- টকশোতে মুখোমুখি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুস
- স্বর্ণের দাম কোথায় যাবে আগামী ৫ বছরে! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- এখন আর চুপ করে থাকবেন না — নেতা-কর্মীদের শেখ হাসিনা
- "নির্বাচন নয়, ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর চাই!"
- ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা: কোটি ডলারের বাণিজ্যে ধস, দৃঢ় অবস্থানে বাংলাদেশ
- লাফিয়ে বাড়ছে সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম