ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বিসিবিতে দুদকের অভিযান, পাপনের দিকে উঠছে অভিযোগের আঙুল

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৫ ২০:১৫:২৯
বিসিবিতে দুদকের অভিযান, পাপনের দিকে উঠছে অভিযোগের আঙুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যেন হঠাৎ করেই পড়ে গেছে দুর্নীতির তদন্তের মুখে। কোটি কোটি টাকার আর্থিক অসঙ্গতি, স্বচ্ছতার অভাব, আর আয়-ব্যয়ের গরমিল ঘিরে বিসিবির কর্মকাণ্ডে নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল হঠাৎ বিসিবি কার্যালয়ে হাজির হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অনুসন্ধান চালায় ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করে।

দুদক জানিয়েছে, তারা তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করেছে। কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পরই অনুসন্ধান শুরু হয়।

বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে শুরু করে দশম আসর পর্যন্ত ৮ বছরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় দেখানো হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি টাকা। অথচ একাদশ আসরে, ফারুক আহমেদের সময়, মাত্র এক মৌসুমেই টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয় প্রায় ১৩ কোটি টাকা! এ অস্বাভাবিক পার্থক্য থেকেই প্রথম অনিয়মের সূত্রপাত বলে জানিয়েছে দুদক। ধারণা করা হচ্ছে, আগে হয়তো কিছু প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত অঙ্কে চুক্তি করেই টিকিট বিক্রি করতো, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবি নিজেই টিকিট বিক্রির দায়িত্ব নেয়, আর তখন থেকেই আয় হঠাৎ করে বাড়তে থাকে।

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে আগে অংশ নিত ২-৪টি দল, কিন্তু এবার অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০টি দল! প্রত্যেক দলের অংশগ্রহণ ফি নির্ধারিত হয়েছে এক লাখ টাকা করে। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন—কেন হঠাৎ এত দল? আগেও কি কোনো বাধা ছিল? নাকি এখানে অর্থ লেনদেনের পেছনে ছিল অস্বচ্ছতা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্ত দল।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ ক্রিকেট উৎসবে বিসিবি জানিয়েছে, তাদের খরচ হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। অথচ প্রকৃত বাজেট ছিল ১৫ কোটি, এবং বাস্তব ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকার মতো। প্রশ্ন হলো, বাকি ১৮ কোটি টাকা কোথায় গেল? দুদক বলছে, এই টাকার হিসাব মিলছে না এবং এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ।

দুদকের তদন্ত দল ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছে এবং একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দুদককে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথিপত্র প্রস্তুত রেখেছে।

সবমিলিয়ে, দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে শুরু হয়েছে এক বড় ধরনের হিসাব-নিকাশ। চোখ এখন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিকেই—এই অভিযোগের দায় কাদের কাঁধে পড়ে, তা সময়ই বলে দেবে।

–মাসুদ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

আজকের সোনা ও রূপার দাম; ২১ এপ্রিল

আজকের সোনা ও রূপার দাম; ২১ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে সোনার বাজারে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও, ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কর্তৃক... বিস্তারিত

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত