ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হাসিনাকে বেয়াইন ডেকেই দেশের যে সর্বনাশ করেছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ অক্টোবর ০৩ ১২:২৯:২৪
হাসিনাকে বেয়াইন ডেকেই দেশের যে সর্বনাশ করেছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার

নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপ ও বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তবে ভারতে পালিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন বলে ডাকেন তিনি। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে তার হাসিমাখা ছবি।

এ উপলক্ষে তিনি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যান পদ পান। এই পোস্টে প্রায় ১৫ বছর। এই পর্যায়ে পৌঁছানোর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদে তিনি দেশের ব্যাংকিং খাতের অন্যতম মাফিয়ায় পরিণত হন। আর্থিক খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত 'চোরের জন্য দশ দিন বাড়ির জন্য এক দিনের মূল্য' প্রবাদের মতো তিনি রেহাই পাননি। তিনিও ধরা পড়েন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সূত্র জানায়, মজুমদার মূলত ২০১৭ সালের পর নিজেকে দেশের ব্যাংকিং খাতে একক কর্তৃত্ব ঘোষণা করেছিলেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ভাই ওয়ালিদ ইবনে ইসলামের মেয়ের সঙ্গে তার বড় ছেলের বিয়ে হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই তিনি শেখ হাসিনাকে বোন বলে ডাকতে শুরু করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে মজুমদার অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। যদিও এটি একটি অংশীদারি ব্যবসা ছিল, তিনি ক্ষমতার প্রভাবের মাধ্যমে নাসা গ্রুপে সম্পূর্ণ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরিচালক আলতাফ হোসেন, এক সময় কোম্পানির ২০ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার এবং স্পন্সরকে অবৈধভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

পরে একাধিক সংগঠিত মামলার পর গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে প্রশাসন তার (আলতাফ হোসেন) বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কিন্তু এত কিছুর পরও থেমে থাকেননি আলতাফ। মালিকানা ফিরে পেতে আইনি লড়াই শুরু করেন। উপরন্তু, তিনি মজুমদারের অর্থ পাচারের অকাট্য প্রমাণ সহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলিতে চিঠি লিখেছিলেন।

সূত্রের খবর, লন্ডন ও হংকং ছাড়াও দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও মজুমদারের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। রিয়েল এস্টেট খাতে অনেক কোম্পানি খুলে সেখানে ব্যবসা করছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৫ সালের দিকে তিনি সৌদি আরবের কৃষি খাতে বিনিয়োগ করেন। তিনি সৌদি আরবে বেশ কিছু খেজুর বাগানে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের রাজধানী দোহায় তার সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।

সিআইডি জানায়, প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দুবাই, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে শত শত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পৃথক তদন্ত করছে সিআইডির আর্থিক অপরাধ ইউনিট। . ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নাসা গ্রুপের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত ৪টি প্রতিষ্ঠান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে