ঢাকা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

এইমাত্র পাওয়া: পরিস্থিতি থম*থমে ৪ বাসে আ*গু*ন দিয়েছেন শ্রমিকরা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ৩০ ২৩:০৪:৫৪
এইমাত্র পাওয়া: পরিস্থিতি থম*থমে ৪ বাসে আ*গু*ন দিয়েছেন শ্রমিকরা

গাজীপুরের তারগাছ এলাকায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার জেরে শ্রমিক অসন্তোষ তীব্র বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মহাসড়ক অবরোধ করে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শনিবার রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী আজমেরী পরিবহনের একটি বাস অনন্ত ক্যাজুয়েল নামে এক কারখানার নিরাপত্তাকর্মীকে চাপা দেয়। তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তার সহকর্মীদের কাছে এই মৃত্যু ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক, যা মুহূর্তেই ক্ষোভে পরিণত হয়।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কারখানার শত শত শ্রমিক মহাসড়কে জড়ো হয়। তারা অন্তত চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ফায়ার সার্ভিসের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এ সময় শ্রমিকরা মহাসড়কে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

এই বিক্ষোভে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যও কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

পুলিশ: গাছা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

ফায়ার সার্ভিস: ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও শ্রমিকদের বাধার কারণে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়।

ট্রাফিক ব্যবস্থা: যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের অভিযোগ, মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলো নিয়মিত বেপরোয়া গতি এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে। তারা দ্রুত দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানায়।

দ্রুত তদন্ত: নিহতের পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা।

শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা: তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে প্রয়োজনীয় আশ্বাস দেওয়া।

নিরাপত্তা জোরদার: মহাসড়কে যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল বন্ধ করতে কঠোর ট্রাফিক আইন প্রয়োগ।

অবকাঠামো উন্নয়ন: শিল্পাঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

গাজীপুরের এই ঘটনা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক অসন্তোষের বাস্তবতা তুলে ধরেছে। এটি কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়; বরং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের অধিকার সুরক্ষায় প্রশাসনের উদাসীনতার বিষয়টিও উন্মোচিত করেছে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

বর্তমানে গাজীপুরে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত