ঢাকা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে যা জানালেন অভিজিৎ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ৩০ ২৩:১৮:৩৩
ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে যা জানালেন অভিজিৎ

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং বিজেপি সংসদ সদস্য অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্যে ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি এবং দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে তোলা অভিযোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গন ও দুই দেশের সম্পর্ককে উত্তপ্ত করেছে।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রধান দিক

১. ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি

অভিজিৎ বলেছেন, "ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কিছু কর্মধারা দেশের সামাজিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নোবেল পুরস্কারের মতো সম্মানজনক স্বীকৃতি এমন একজনের থাকা উচিত নয় যিনি তার দেশের পরিস্থিতি উন্নত করতে ব্যর্থ।"

তিনি নোবেল কমিটির প্রতি আহ্বান জানান, ড. ইউনূসের পুরস্কার পুনর্মূল্যায়ন করে তা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।

অভিজিৎ দাবি করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। তিনি ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, "ধর্মীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এটি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।"

অভিজিৎ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে "অসভ্য" উল্লেখ করে বলেন, "বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।"

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির একজন প্রভাবশালী নেতা। তার মন্তব্যের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যা ভারতীয় অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাংলাদেশ ইস্যুকে ব্যবহার করার কৌশল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে এটি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

অভিজিতের মন্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ড. ইউনূসকে নিয়ে এমন মন্তব্য তার আন্তর্জাতিক খ্যাতির প্রতি একটি আঘাত হিসেবেই ধরা হচ্ছে।

বাংলাদেশের একাধিক বিশ্লেষক মনে করেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তার বক্তব্য বাস্তব পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই দূরে। তারা উল্লেখ করেন, এ ধরনের মন্তব্য কেবল দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

সম্ভাব্য প্রভাব

১. বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

২. ড. ইউনূসের ভাবমূর্তি

ড. ইউনূস, যিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার মাধ্যমে নোবেল জিতেছেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে তার অবদান অস্বীকার করা কঠিন।

৩. ধর্মীয় সংবেদনশীলতা

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে এমন অভিযোগ বাংলাদেশে বিভাজন তৈরি করতে পারে, যা দুই দেশের ভেতরকার স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভারতের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো।

বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলে সঠিক তথ্য তুলে ধরে দেশের বাস্তব পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে হবে।

দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখতে সংবেদনশীল ইস্যুগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক ইমেজকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হবে কূটনৈতিক এবং তথ্যভিত্তিকভাবে এই অভিযোগের জবাব দেওয়া। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখার দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত